দশমিনায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে এসএসসি পরীক্ষা
রবিউল হাসান ডব্লিউ,দশমিনা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দশমিনা বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে নেওয়া হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ৯০ দশকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি ভবন নির্মাণ হয়।
বিদ্যালয়টির মূল ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী। বেশির ভাগ কক্ষের দেয়াল ও ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তার।দেয়ালের বাইরের দিকে গজিয়েছে বিভিন্ন গাছ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা না করলেও ভবনটি যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে, তা স্বীকার করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতেই চলছে এসএসসি পরীক্ষা।
এরই মধ্যে ২০২২ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর মধ্যে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ কোনারে নতুন একটি ভবনও তৈরি হয়েছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত দশমিনা বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এই কেন্দ্রে ৪৯৭ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। তবে ওই ভবনের চার টি হলরুমে ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ভবনটি তাদের কাছে হস্থন্তর করা হয়নি বলেই সেটি ব্যবহার করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে পুরোনো ভবনে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ। এ রকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা নেয়ায় তারা শঙ্কিত।
দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো.সাগর হোসেন বলে,আমাদের বাড়ির পাশেই অবস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেও পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।ওই বিদ্যালযয়ের মাঠে মাঝে মাঝে বিকেল বেলা আমরা ক্রিকেট ফুটবল খেলাধুলা করে থাকি। ক্রিকেট ও ফুটবল গিয়ে লাগলেই পলেস্তাার খুলে পড়ে।
আরেক পরীক্ষার্থী রাহাত জানায়, তারা যে ভবনটিতে পরীক্ষা দিচ্ছে ভবনের ছাদের পলেস্তার খসে পড়ছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষার কেন্দ্র করা ঠিক হয়নি বলেই মনে করছে পরীক্ষার্থীরা।
কেন্দ্র পরদির্ষক কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃখালিদ মাহমুদ জানান, আমি প্রথম থেকে এসে দেখেছি বিদ্যালয় কক্ষ গুলো ঝুঁকিপূর্ণ তাই ভবনটির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। তারা বলছে পরিক্ষার শেষে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.লুৎফর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গতএক বছর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা প্রকৌশালী অধিদপ্তরকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পযন্ত কোন ফল পাইনি। আর নতুন ভবন এখনো হস্থস্ত না হওয়ায় সেখানে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। তিনি নতুন চারতালা ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো সেলিম য়িা বলেন,অতিরিক্ত পরীক্ষার্থী উপস্থিতি থাকার কারণে আমরা ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা নিতেছি। যদি কোন ঘটনা ঘটে তাহলে পরবর্তী পরীক্ষা মাঠের সামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নিতে পারি।পরীক্ষার শেষে যুকিপূর্ণ ভবনের বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত অফিসার (অ:দা) মো. আল-আমিন বলেন, আমরা সরে জমিনে গিয়ে দেখেছি ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাদেরকে অবজারভেশনে রেখেছি সম্ভব হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে পরীক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়ে নতুন ভবনের পরীক্ষা নেওয়া হবে।