সংবিধান অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচন হবে : কৃষিমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচন হবে : কৃষিমন্ত্রী
Dhaka Post today
নিজস্ব প্রতিবেন
দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, এক পক্ষ বলছে দেশে নাকি নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, কিন্তু দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সকল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ সময় সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে।
শনিবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানের মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ফারুক বক্তব্য রাখেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লন্ডনে একটি অফিস ছিল। সেই অফিসের মাত্র দুটি জানালা ও একটি দরজা ছিল। ১৮৫৭ সালে সেই অফিস ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অফিসে পরিণত হয়। তারপর পাকিস্তানিদের শোষণের ইতিহাস তো সবারই জানা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের বাঙালি জাতির অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি, রাস্তা-ঘাট, মানুষের মাথাপিছু আয়, সংবিধানসহ সবক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর মতো করেই আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। তিনি ফিরে না আসলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে ধারণ করে দেশকে বর্তমানে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন, তখন রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও এটা বুঝেছিলাম যে- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চাকা আবারও চলবে। তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবারো জাগ্রত হয়েছিল। এখনও জাগ্রত আছে।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে, এই চেতনাকে সমুন্নত রেখে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। সে কারণেই তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সামরিক শাসন থেকে মুক্তি দিতে এসেছি, আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে আসিনি।’
তিনি বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে শেখ হাসিনা সেই পথ হেঁটে যাচ্ছেন। তাই সবাইকে আগামীতে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন তখন এদেশের প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষ সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিল। তিনি সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। শেখ হাসিনা তাঁর কয়েকটি কাজের জন্য তিনি ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন।
তার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরায় পুনর্বাসন করা।