কুমিল্লায় ধর্ষণ পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির অপপ্রচারে বিপর্যস্ত স্কুলছাত্রী ও সাংবাদিক

0 ৫৩১

কুমিল্লায় ধর্ষণ পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির অপপ্রচারে বিপর্যস্ত স্কুলছাত্রী ও সাংবাদিক

Dhaka post today

বিশেষ সংবাদদাতা:

কুমিল্লা হাই স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক শাহনেওয়াজ বাহার পর্নোগ্রাফি মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলেছে মামলার বাদী স্কুলছাত্রী ও তার পারিবারিক জীবন।মামলা নং ০১/১/৪/২০২২ কুমিল্লা সদর থানা।

এঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করার কারনে সাংবাদিক রাসেলের বিরুদ্ধেও মনগড়া অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এই অপরাধী। কম্পিউটারে বিভিন্ন ছবি এডিট করে একটার সাথে আরেকটা জোড়া লাগিয়ে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার চাপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। মামলা করে মহাবিপদে পড়ে গেছে ভুক্তভোগি স্কুল ছাত্রীর পরিবার।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা নগরীর মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন ওই স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক শাহনেওয়াজ বাহার।

শিক্ষার্থীদের এসব আপত্তিকর দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ দিন কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এঘটনায় সহযোগিতা করার দায়ের শিক্ষক বাহারের বাবা ওই স্কুলেরই অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল কাদেরও জেল খাটেন।

জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল-২০২৩ দিবাগত রাতে নারী শিশু নিযার্তন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার লালমাই উপজেলার রসলপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে কোতায়ালী মডেল থানা পুলিশ।

১৭ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করা হলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লার লালমাই উপজেলাধীন রসলপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের ছেলে মো. শাহনেওয়াজ বাহার (৪০)। তার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি ও প্রতারণার একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বিবাদী মো. শাহনেওয়াজ বাহার কুমিল্লা মডেল হাই স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। সেই সুবাদে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার কাছে প্রাইভেট পড়তেন। একারনে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এপর্যায়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন স্কুল শিক্ষক শাহনেওয়াজ বাহার।

তবে শিক্ষক বাহার ওই ছাত্রীর অগোচরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে একটি ভুয়া কাবিননামা করেন। কয়েকদিন পর গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতে কোনো প্রকার সর্ম্পক না রাখার অঙ্গীকার প্রদান করেন বাহার ও তার বাবা কাদের।

এরপরেও বাহার ও তার পিতা আব্দুল কাদের পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান। ৩ অক্টোব-২০২২ তারিখে শিক্ষক বাহার মোবাইলে ফোনে কথা আছে বলে ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক র্ধষণ করে গোপনীয়ভাবে ছবি, ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ঘটনায় বাহারের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এসব ঘটনায় মামলা হলে দীর্ঘ দিন জেল খাটেন বাহার ও তার পিতা কাদের।

তবে জেলখানি টানার পরে-ও এখনো থেমে নেই পিতা-পুত্র। কপিরাইট পর্নোগ্রাফি বানানোর মাষ্টার বাহার সহজে হাল ছেড়ে দেয়ার লোক নয়। তার মতো একজন দুর্ধর্ষ লোককে জেল খাটানো হয়েছে, এটা কোন মতেই মেনে নেয়া সম্ভব না। একারনে সে ওই স্কুলছাত্রী ও পরিবারকে কঠিন শিক্ষা দেয়ার জন্য আবারো আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। একইভাবে আপত্তিকর নানা ধরনের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনায় সাংবাদিকরা ভুক্তভোগি স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সহযোগিতা করার কারনে এখন সাংবাদিক রাসেলকে নিয়েও কম্পিউটারে এডিট করা নানা ধরনের ছবি, ভিডিও ও ভয়েজ রের্কড ছড়িয়ে দিয়ে হুমকি ধামকি সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।

মুলত জামিনে বেরিয়ে এসে কোন মামলার আসামী পূর্বে ন্যায় একই ধরনে অপরাধ সংঘঠিত করতে পারে না। কিন্তু বাহার একটার পর একটা অপকর্ম চালিয়েই যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনও এবিষয়ে তেমন কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে জানা যায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.