জলাশয় সংস্কারের নামে আবাদি জমির মাটি বিক্রি

0 ৬৭

জলাশয় সংস্কারের নামে আবাদি জমির মাটি বিক্রি

কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দার কুল ফিশারী জলাশয় সংস্কারের নামে আবাদি জমির মাটি বিক্রির অভিযোগ এলাকা বাসীর।

Dhaka post today
নিজস্ব প্রতিনিধি:

ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলাধীন, রুহিতপুর ইউনিয়নের “সোনাকান্দা কোল ফিশারী/ জলাশয়টি সীমানা চিহ্নিত না করেই খনন ও সংস্কারের নামে উপজেলা কর্তৃক ছাড়পত্র গ্রহণ করে মাটি কেটে বিক্রয় করছে যা জলাশয় নীতিমালা ২০০৯ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

অত্র এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডিয় জমি যাহা সরকার কর্তৃক মিউটেশন/নামজারী সহ খাজনা দিয়ে যুগ যুগ ধরে চাষাবাদ এবং ভোগ দখলে আছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান।

জলাশয়টির সীমানা চিহ্নিত না করেই উপজেলা কর্তৃক ঠিকাদার নিয়োগ করে খনন ও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করায় এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে বলেন,জলাশয় সংস্করণের কথা বলে আমাদের রেকর্ড ভুক্ত কৃষি জমির মাটি বিক্রয় করছে এবং আমাদের জমির উপর দিয়ে ট্রাক ভরে মাটি অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে, যাহা আমাদের উপর জুলুম করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও রেকর্ডিয় জমি অত্র খনন ও সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে পড়েছে।

মতিউর রহমানের এবং তার পরিবারের ৩ একরের উর্দ্ধে জমি রহিয়াছে। জমির পরিচয় ও চৌহদ্দি দেওয়া হলোঃ মালিকের নাম: মোঃ মতিউর রহমান, পিতা-মৃত মোঃ ফুলচান মিয়া, মাতা- বেলাতুন নেছা, সাং-নতুন সোনাকান্দা, ডাকঘর-রোহিতপুর, থানা-কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।

মৌজা-সোনাকান্দা, জে এল নং-৬৫, আর এস খতিয়ান ৭১৭ ও ১৯৫৬, আর এস দাগ নং- ২২৬, ২২৯, ২৩৫ নাল জমি, জমির পরিমাণ ২.৩৬ একর। মতিউর রহমানের নিজের এবং মতিউর রহমানের পৈত্তিক ও মতিউর রহমানের স্ত্রীর নামে ২৩৬, ২৩৮, ২৩৭, ২৩৪ ২৩৩, ২৩২ নং দাগের নাল জমি কম বেশি ০ ৬০ শতাংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন নাল ও কৃষি জমি রহিয়াছে। যাহার চৌহদ্দি, উত্তরে হাজী মোঃ শওকত আলীর জমি, পশ্চিমে আরাফত আলীর জমি, দক্ষিণে সরকারী জলাশয় পূর্বে মোঃ এমদাদ মিয়া ও মোঃ জুম্মন মিয়ার জমি।

ইতিপূর্বে ০৮/০৬/২৩ তারিখে জলাশয়টির সীমানা চিহ্নিত করে খনন ও সংস্কার কার্য করার জন্য অনুরোধের সহিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করেন মতিউর রহমান।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও মতিউর রহমান জানায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং আমাদের কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মোঃ মতিউর রহমান আরোও বলেন, আমি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছি, রাজনৈতিক কোন আশ্রয়ে আমি যেতে চাইনি, কেননা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমার সর্বদায়, আমি মাননীয় দেশ রত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানাচ্ছি যেন, আমাদের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখেন এবং সুষ্ঠু বিচার করে দেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.