ওটিটি’র কল্যানে যে পুরোনো শিল্পীদের পুনর্জন্ম হচ্ছে,

0 ৬০

ওটিটি’র কল্যানে যে পুরোনো শিল্পীদের পুনর্জন্ম হচ্ছে,

Dhaka post today
বিনোদন ডেস্ক:

ওটিটি’র কল্যানে যে পুরোনো শিল্পীদের পুনর্জন্ম হচ্ছে, তার স্বপক্ষে সবচেয়ে বড় উদাহরণের নাম- এফ এস নাঈম। কারাগার এ ইন্তেখাব দিনারের বন্ধু হিসেবে নাঈম কেড়ে নিয়েছিলেন পাদপ্রদীপের আলো। পেয়েছিলেন দর্শকের সাড়া। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে চরকিতে মুক্তি পাওয়া ডার্ক স্যাটায়ার ‘ওভার ট্রাম্প’ এ-ও।

সেখানে ‘মাহবুব’ নামের অতিশয় ধুরন্ধর এক চরিত্রে করেছেন দুর্দান্ত অভিনয়। চরিত্রটাই এমন ছিলো, সেখানে আবেগের আদেখলাপনা আছে, আছে ষড়যন্ত্রের বক্র চাহনিও। এবং সিচুয়েশন বুঝে এই যে ভিন্ন ভিন্ন ডাইমেনশন, সে ডাইমেনশনে ‘মাহবুব’রূপী এফ এস নাঈম করেছেনও দুর্দান্ত অভিনয়। যেখানে মোশাররফ ও চঞ্চলের পর দর্শকদের আগ্রহ এখন নাঈমে।

এদিকে ‘কারাগার’ কিংবা ‘ওভারট্রাম্প’ নিয়ে কথাবার্তা শেষ হয়নি, এরমধ্যেই ‘হইচই’তে আসতে চলেছে তার ওয়েব সিরিজ ‘মিশন হান্টডাউন।’ যে ওয়েব সিরিজের ট্রেলার মুক্তি পেলো ১৫ জুন বৃহস্পতিবার। রাফ অ্যান্ড টাফ পুলিশ অফিসার, যিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিজের স্ত্রীকে খুন হতে দেখেছেন।

সেই পুলিশ অফিসার প্রিয়জন হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি সওয়ার হচ্ছেন যুদ্ধে; ট্রেলারের সীমিত গণ্ডিতে যতটুকু দেখা গেলো, বুঝতে কষ্ট হলোনা- ‘পুলিশ অফিসার’ এর এই বিশেষ চরিত্রের গণ্ডিতেও এফ এস নাঈম থাকবেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। আর তাতেই তার শুভার্থীদের শুভেচ্ছাতে ভাসছে নাঈম।

এ প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, এই সিরিজে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বলা যেতে পারে, এটিতে কাজ করাটা আমার জন্য একপ্রকার সাধনার মতো। চার মাস ধরে মাহিদ চরিত্রটির মধ্যে ডুবে ছিলাম। এমন একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সত্যি অন্য রকম।

এ ছাড়া প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি এবং আমি এটিতে আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন বাকিটা দর্শকদের ওপর নির্ভর করছে।

তিনি আরো বলেন, এটি মুক্তির পর দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করবেন আমার বিশ্বাস। ট্রেলার মুক্তির পর দর্শক, শিল্পী, সহকর্মীরা সবাই প্রশংসা করেছেন এখানে আমার অভিনয়ের। সেদিক থেকে বেশ উৎসাহিত হয়েছি।

সামনে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাতে অভিনয় করবেন এফ এস নাঈম। পাশাপাশি ‘ওভার ট্রাম্প’ কিংবা ‘কারাগার’ এর নজরকাড়া অভিনয় তো রইলোই। সবমিলিয়ে, নাঈমের গত এক বছরের এই যে পথচলা, তা ক্ষণে ক্ষণে একটা বাক্যকেই মনে করায়। এভাবেও ফিরে আসা যায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.