বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকার

0 ৪৪

বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকার

dhaka post today

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ সমস্যার ফলে পর্যটন নগরীর স্থায়ী জনগণদের চেয়ে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।

শনিবার (২৪ জুন) জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় স্পিকার এ কথা বলেন। এছাড়াও সাক্ষাৎকালে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, সংসদীয় অধিবেশন, শান্তি মিশনে নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি পরিবারের স্বামী-স্ত্রী উভয়ের যৌথ নামে ঘর প্রদান করা হচ্ছে, যার ফলে নারীর অধিকার সংরক্ষিত হচ্ছে।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের নগদ ভাতা প্রদান করছেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছেন, যা দেশের অতি দারিদ্র্যের হার কমাতেও সহায়ক হচ্ছে।

নারী শান্তিরক্ষার ১ম বৈঠকে নিজের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের নারীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন স্থান কক্সবাজারের জনসংখ্যার থেকেও রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে এ সমস্যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব।

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পোলার্ড জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশাল অবদানের কথা স্বীকার করেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। এসময় পোলার্ড বর্তমানে চলমান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমগুলো অতীতের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিপরীতে ক্রমশ জটিল ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে উল্লেখ করে এ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ সহকারী দারাগ রাসেলসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.