কোরবানির ঈদের মাত্র এক দিন বাকি।

0 ৬০

কোরবানির ঈদের মাত্র এক দিন বাকি।

dhaka post today

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির ঈদের মাত্র এক দিন বাকি। শেষ সময়ে দর কষাকষিতে জমেছে রাজশাহীর পশুর হাট। হাটে ছোট, মাঝারি এবং বড় আকারের গরু পর্যাপ্ত থাকায় ক্রেতারা সামর্থ্য অনুযায়ী কিনছেন। তবে হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে।

কোরবানির পশুর হাটে বরাবরই ক্রেতাদের দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও বিক্রেতরা বলছেন, গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় লালন-পালন খরচ বেড়েছে। তবে কোরবানির পশু ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।

সিটি পশুর হাটের পর রাজশাহীর দ্বিতীয় বৃহৎ পশুর হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) বানেশ্বরে হাট বার। কোরবানি উপলক্ষ্যে বানেশ্বর হাট কলেজ মাঠে বসেছে পশুর হাট। হাটে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে নসিমন, করিমন, ভটভটিতে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে শুরু করেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। দুপুর ১টার পরে কলেজ মাঠের সিংহভাগ ভরে যায় কোরবানির পশুতে। দুপুর আড়াইটার পর পুরোদমে জমে ওঠে পশু কেনাবেচা।

হাট থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন মিনহাজুল ইসলাম। তিনি ছাড়াও হাটে কোরবানির পশু পছন্দ করতে এসেছেন পাঁচজন ভাগিদার। সবার সম্মতিতে কিনেছেন গরুটি।

মিনহাজুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১টার দিকে এসে পুরো হাট ঘুরেছি। পছন্দ হচ্ছে গরু, তবে দাম মিলছে না। পাঁচটা গরুর দাম নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বেশি দাম চাচ্ছেন, তাই গরু নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ এই গরুটা সবার পছন্দ হয়েছে। মাংস যা হয় হোক, পছন্দ হয়েছে তাই গরু কিনেছি আমরা।

ঢাকার গাবতলীর গরু ব্যবসায়ী আলফাজ হোসেন। তিনি বানেশ্বর হাট থেকে ছয়টি গরু কিনেছেন। তার গরুগুলোর মধ্যে দুটি মাঝারি এবং তিনটি বড় আকারের। এর মধ্যে একটি তুলনামূলক ছোট আকারের গরু রয়েছে। তিনি গরুগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাবেন ঢাকার হাটে।

আলফাজ হোসেন বলেন, আমরা চারজন শেয়ারে ব্যবসা করি। হাটে আমাদের দুইজন পার্টনার রয়েছে। আমরা দুইজন রাজশাহীর হাট থেকে গরু কিনে পাঠাবো। তারা সেখানে বিক্রি করবেন। এবার গরুর দাম বেশি। তাই তুলনামূলক কেনাবেচা কম। তারপরও চাঁদ রাতে গরু বেশি কেনাবেচা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.