নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউপি উপ-নির্বাচন/ হামলা মামলায় নাটকীয়তা
Dhaka post today
নেছারাবাদ উপজেলা (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
স্বরূপকাঠি উপজেলার ৭ নং গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচণে হামলা মামলায় মেতেছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিনিয়ত সাধারন ভোটারদের মাঝে ভয় ভীতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বচাণে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেও প্রচার প্রচারণায় মাত্র দুজন। স্থাণীয় রাজনৈতিকদের দাবি পাঁচজনই প্রক্সি দিচ্ছে দুই প্রার্থীর।
নৌকা ও অটোরিক্সা এই দুই প্রার্থী নির্বচাণে মূল প্রতিদ্বন্দি।চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী গাজী মোঃ হুমায়ুন কবিরের (আলতাফ) অভিযোগ, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর স্বামী পলাশ এবং তার সাথে থাকা লোকজন আমাকে লাঞ্চিত করে আমার সাথে থাকা লোকজন এসে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করলেও পলাশ তাতে কর্নপাত করে নি। নির্বাচনে তফশিল ঘোষনা হওয়ার পর থেকে এই পযর্ন্ত ৫/৬ জন লোক পলাশের মারধরের শিকার এবং বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। সে তার ২৮ বছর বয়সি স্ত্রীকে নির্বাচণে নামিয়ে এলাকার ছেলেপেলেদের নিয়ে এসব করছেন।
এঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আহত ও স্থানীয় সূত্র মতে জানা গেছে ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) এ কর্মরত আছেন। পলাশের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকেছিলেন। এব্যপারে পলাশ সিকদার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।
দুদক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে। তারা আমার মন্তব্য নিয়েছে গতকাল (শনিবার) আমার গ্রামের বাড়িতে এসে তদন্ত করেছে। আরিফের সাথে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করি। ওসি নেছারাবাদের দাবি, এখানে নির্বাচণি সংঘাতেরমত কোন ঘটনা ঘটেনি। যাই হয়েছে পূর্বশত্রুতা থেকে। রাজবাড়ি এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহল ডিউটি চালু রেখেছে।
নির্বচাণ কমিশনার শাহীন শরিফ জানান, এ যাবৎ দুইটা অভিযোগ পাওয়া গেছে, আলতাফ হোসেনের অভিযোগ নেছারাবাদ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং নির্বাচণি আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজী মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।