নেছারাবাদে নির্মাণের দশ দিনের মাথায় সড়কজুড়ে গর্ত
Dhaka post today
নেছারাবাদ(পিরোজপুর)
নেছারাবাদে নির্মাণের দশ দিনের মাথায় সড়কজুড়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জগন্নাথকাঠি কৃত্তিপাশা সড়ক।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের(সওজ) নেছারাবাদ কৃত্তিপাশা সড়কের জগন্নাথকাঠি থেকে চারশত মিটার সড়ক রিপেয়ারিং এর কাজ দশ দিনের মাথায় বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে। স্থাণীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করে ঠিকাদার ও সওজের লোকজন মিলে ছাব্বিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ লুটপাট করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. কবির হোসেন বলেন, সড়ক বিভাগের এই রাস্তাটি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অবহেলিত ছিল। রাস্তাটি মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে যাতায়াতের আশাছিল। তবে, নিম্নমানে নির্মাণ সামগ্রীর কারণে কাজ শেষের মাত্র দশ দিনে সড়কজুড়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক পৌর মেয়র ও স্থানয়ি বাসিন্দা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজ খুবই খারাপ হয়েছে। কাজ শেষের দশ দিনের মাথায় রাস্তার পিচ উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পুরো কাজেই অনিয়ম হয়েছে বলে রাস্তাটির এমন দশা হয়েছে।
স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির জানান, কাজের মান খুবই খারাপ হচ্ছিল, বিষয়টি জানতে পেরে আমি সহ আমার কাউন্সিলরদের নিয়ে তাদের থেকে ভাল কাজের কথা বললে কোন রকমের কাজ করে তারা রাতের আধারে পালিয়ে গেছে। কাজে চরম অনিয়ম হয়েছে বলে দাবী মেয়রের।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নেছারাবাদ উপজেলার দাায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার রতন মিস্ত্রী জানান, কাজের শুরুতে আমি দুই দিন উপস্থিত ছিলাম। পরে শরীরিক অসুস্থতায় কাজের সাইডে আর যেতে পারিনি। পিরোজপুরের শুভ নামে এক ঠিকাদার ওই কাজ করেছে। এর বেশি কিছু আমি জানিনা।
পিরোজপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলি মো.রেজাউল করিম জানান, চারশত মিটার কার্পেটিং রাস্তার রিপেয়ারিং এর জন্য সম্ভবত ছাব্বিশ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়ে ছিল। মাইনুদ্দীন বাশি নামে এক লোক ওই কাজের মুল ঠিকাদার। তার থেকে সাব কণ্টাকে শুভ নামে এক লোক ওই কাজ করেছে। তিনি বলেন, কাজের সময় আমরা ছিলাম। কাজ করে কাজের বিল নেয়া হয়ে গেছে।
এবিষয়ে পিরোজপুর সড়ক ও জনগথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সমস্যা হয়েছে সেটা সমাধাণের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃষ্টি কমলেই রাস্তাটি পূনরায় মেরামত করা হবে।