বাবা আমার মাকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন

0 ৩৫

বাবা আমার মাকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন

dhaka post today

মুন্সীগঞ্জ জেলা – প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জে স্ত্রী শাহানাজ পারভীন শাহিনকে (৫৫) হত্যার দায়ে স্বামী মমিনুল ইসলামকে (৬০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোতাহারাত আখতার ভূঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন । এ সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পশ্চিম পাউসার গ্রামে স্ত্রী শাহানাজ পারভীন শাহিনের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মমিনুল ইসলামের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে শাহানাজ পারভীন ঘুমিয়ে গেলে শাবল দিয়ে তার মাথায় একাধিক আঘাত করেন মমিনুল। পরে তাকে ঘরে তালা দিয়ে মমিনুল পালিয়ে যান।  পরের দিন সকাল পৌনে ৮টার দিকে মমিনুল তার মেঝ ভাইয়ের স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি  শাহানাজ পারভীনের মেয়ে আলপনা আক্তার মলিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুলতান ব্যাপারী বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করলে ২৯ এপ্রিল আসামিকে সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়া মোড়া এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অজয় চক্রবর্তী  বলেন, আসামি তার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর জখম করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়, যাতে তাকে কেউ চিকিৎসা করাতে না পারে। এ মামলায় নিহতের দুই ছেলে-মেয়েসহ মোট ১৬ জন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। এছাড়া আসামি নিজেও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিহতের মেয়ে আলপনা আক্তার মলি বলেন, বাবা আমার মাকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন। আমি ও আমার ভাই এ ব্যাপারে আদালতে সাক্ষী দিয়েছি। আমি চাই তার সাজা যাতে বহাল থাকে। তিনি যেন উচ্চ আদালত থেকে আদেশ নিয়ে বের হতে না পারেন। এ মামলায় তিনি পাঁচ মাস জামিনে ছিলেন। সেসময় আমাদের ওপর অনেক নির্যাতন করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.