জাতীয় দলে সতীর্থ দুই ক্রিকেটারের মুখোমুখি লড়াই

0 ৪০

জাতীয় দলে সতীর্থ দুই ক্রিকেটারের মুখোমুখি লড়াই

dhaka post today

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে গিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) জাফনা কিংসের হয়ে এবারের আসরে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন টাইগার এই ক্রিকেটার। অভিষেক আসরটা মন্দ কাটেনি। শেষের কয়েকটি ম্যাচ বাদে ধারাবাহিক ছন্দে ছিলেন। বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলের জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। 

এলপিএলের আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি গল টাইটান্সের হয়ে খেলছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলে সতীর্থ দুই ক্রিকেটারের মুখোমুখি লড়াইয়ে সাকিবের বলে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ বাউন্ডারি মেরে বসেন হৃদয়। যা নিয়ে জোর চর্চা ছিল টাইগার সমর্থকদেরও।

তবে সে সময় শ্রীলঙ্কায় থাকায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি টাইগার এই ক্রিকেটার। গতকাল ৮ আগস্ট অবধি ছিল হৃদয়ের ছাড়পত্র। যে কারণে আজ বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। আর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন হৃদয়।

সাকিবকে মারা সেই ছক্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই তো অনেক অভিজ্ঞ বোলার। সেদিন উইকেটে বল একটু ধরছিল। টার্ন করছিল। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমি টি-টোয়েন্টি খেলেছি, দেখেছি। তিনি টি-টোয়েন্টিতে এত আস্তে বল করেন না। সেদিন অনেক আস্তে করছিলেন। তখন বুঝতে পারছিলাম উনি কতটা অভিজ্ঞ। উনার আস্তে বলও মারা যাচ্ছিল না। আমি যে বলটা মেরেছি, সেটাও অনেক দূরে করেছে। আর ওই বলটা যদি না মারতাম বা ডিফেন্স করতে চাইতাম, তাহলে হয়তো আমি আউট হয়ে যেতাম। ডু অর ডাই ছিল।’

সাকিবের সাথে ম্যাচ খেলা নিয়ে হৃদয় আরও বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ম্যাচ ভালো ছিল। সাকিব ভাই খেলা শেষে বলেছে, ভালো ব্যাটিং হয়েছে। আমি পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং করছিলাম, তখন পরিস্থিতির দাবি ছিল যে রানের দরকার। প্রতি বলে কীভাবে রান বের করা যায় সে চেষ্টা করছিলাম। সাকিব ভাই আছেন বা আরও বড় কেউ আছেন, এমন কিছু আমার মাথায় কাজ করেনি। সবসময় আমি আমার নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করেছি।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.