জুরাইন কবরস্থানের মধ্যে প্রকাশ সেই চলছে মাদক

0 ৪১৪

জুরাইন কবরস্থানের মধ্যে প্রকাশ সেই চলছে মাদক

জুরাইন কবরস্থানে হাত দিলেই মিলছে মাদক

 

নিজস্ব প্রতিনিধি 

মো:হা-মীম নিউজ ডেক্স:

 

রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানের মধ্যে প্রকাশ সেই চলছে মাদকের কারবার জুরাইন কবরস্থান চারটি গেইট সংলগ্ন কিন্তু সিকিউরিটি গার্ড মাত্র দুইজন তারা বলেন স্হানীয় এবং  বহিরাগত অনেক লোক সব সময় আনাগোনা হয়ে থাকে।

 

জুরাইন কবরস্থান শ্যামপুর থানাধীন এর আয়তন ১৭.২৬ একর যার মধ্যে সাধারণ কবরস্থান ১২ একর আর সংরক্ষিত ৫.২৬ একর জায়গা নিয়ে ইহা অবস্থিত।

রাত যখন নয়টা থেকে দশটা অতিবাহিত হয় তখনই শুরু হয় মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতার অবস্থান কবরস্থানের চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে এর পাশেই রয়েছে গেন্ডারিয়া রেলওয়ে স্টেশন রেল লাইন থেকে একেকজন করে কবরস্থানের ভিতর প্রবেশ করতে শুরু করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় কবরস্থানের এক কোনে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ঘর পাশেই বাঙালি দোকানগুলোতে মাদক বিক্রি করে সেই মাদক কবরস্থানের ভিতরে গিয়ে মাদক সেবন করে ।

এ বিষয়ে কবরস্থানের নাইট গার্ড তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত বড় কবরস্থানের বাউন্ডারি যেখানে চারটা গেইট কিন্তু সিকিউরিটি গার্ড দুজনের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হয় না।

তাই বেশি রাত হলে কবরস্থানের ভিতরে বহিরাগত লোকজন প্রবেশ করতে থাকে এবং তারা ভিতরে ঢুকে মাদক সেবন করে। তাই আমরা মাদক সেবনকারীদের ভয়ে ভিতরে যেতে আমাদের ভয় হয়।

নাইট গার্ড ঢাকা প্রতিদিন কে জানায় সাধারণ পাবলিক যখন ঢুকে তখন তারা বলে কবর জিয়ারত করতে যাবো কোন না কোন আত্মীয়ওর কবর জিয়ারত করবে বলে ভিতরে প্রবেশ করে, তারপর মাদক বিক্রি করে এবং তারা নিজেরাও মাদক সেবন করে এ বিষয়ে নাইট গার্ড কিছু বলতে গেলে অনেক সময় তাদের উপর আক্রমণ করে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় বিগত দিনও জুরান কবরস্থানের ভিতর থেকে পলাতক আসামী ও ছিনতাই কারিদের প্রশাসন উদ্ধার করেছেন মাদকের পাশাপাশি ছিনতাইকারীরাও রাতে আড্ডা দিতে গেটের ভিতর প্রকাশ করেন মাদক ক্রেতা ও বিক্রেতার কারণে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে চুরি ও ছিনতাইকারীদের ত্বব্রতা।

অনেক সময় নাইট গার্ডরা তাদেরকে ধাওয়া  করলে কবরস্থানের দেওয়াল ছোট হওয়ার কারণে দেওয়ালের উপর থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে যান মাদক সেবনকারী ও ছিনতাই কারীরা বেশ কিছু সময় ছোট ছোট কিশোরদেরকেও ভিতরে প্রবেশ করে বিড়ি সিগারেট খেতে দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে যায় কবরস্থানের ভিতরে লোহার কিছু দরজা ছিলো বেশ কয়েকদিন ধরে লোহার দরজা খুঁজে পাচ্ছে না নাইট গার্ড এবং নাইট গার্ড তাদের রাতের বেলা টর্চ লাইট প্রয়োজন হয় কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের টর্চ লাইটের ব্যবস্থা করেন না।

অনুসন্ধান করে জানা যায় কবরস্থানের চতুরপাশে ছোট ছোট ছুপরি ঘর রয়েছে তাদের থেকে মাদক সরবরাহ করা হয়।

এ বিষয়ে শ্যামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়টি শুনলাম এখন থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

Leave A Reply

Your email address will not be published.