নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে – মির্জা ফখরুল ইসলাম

0 ৩৪

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে – মির্জা ফখরুল ইসলাম

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তারুণ্যের রোডমার্চ রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। রোডমার্চটি ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে সৈয়দপুর পথসভায় এসে মিলিত হয়।

মহাসচিব বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে। আজকে রোডমার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যেদিন এ সরকারের পতন হবে।

সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ, বিদ্যুৎ থাকছে না, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেচ ও কৃষিকাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে তারা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুধু বিএনপি নয় দেশের সব রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার বারবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি সেখানে অংশ নেবে।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাসেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবা শানু এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পথসভা শেষে সৈয়দপুর বাইপাস মহাসড়ক দিয়ে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথে সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড়ে নীলফামারী জেলা বিএনপির আয়োজনে এক পথসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.