যে হাতে বোমা মারবেন সে হাত ভেঙে দেওয়া হবে – জাহাঙ্গীর কবির নানক
নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ জোর করে কিংবা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় আসে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের সামনে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসে না। বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় আসে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় আসে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করে। আমরা যা বলি তা করি। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ২০০৬ সালে শেখ হাসিনা একদিনও বেশি থাকেননি, ক্ষমতা হস্তান্তর করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
নানক বলেন, আমি একটি কথা বলতে চাই, দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন আমরা কেউ না। এই কৃষি মার্কেটে আগুন লেগেছে, আশেপাশে গরম লাগেনি? দেশে যদি অশান্তি সৃষ্টি হয়, আমরা কেউ শান্তিতে থাকতে পারব না।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ হুমকি দিয়েছেন, কীসের হুমকি দেন? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নির্বাচন হবে। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। যদি সংঘাত সৃষ্টি করেন, সংঘাতের দিকে এগিয়ে যান, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেন, উন্নয়নের পথে যদি বাধা সৃষ্টি করেন, অগ্রগতির পথে যদি বাধা সৃষ্টি করেন, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন যদি অস্বাভাবিক করেন, তাহলে যে হাতে বোমা মারবেন, সে হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যে হাতে আগুন দেবেন, সে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক পবিত্র মক্কায় অবস্থান করছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৪ তারিখ রাতে কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে আমাদের ব্যবসায়ীরা ভাইরা সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের প্রাণের মার্কেট। সে দিন এ বার্তা পাওয়ার পর আমি ফায়ার সার্ভিসের ডিজির সঙ্গে, তেজগাঁও জোনের ডিসি, মোহাম্মদপুর থানার ওসির সঙ্গে কথা বলি। এই মার্কেট কমিটির সভাপতি সলিমুল্লাহ সলু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, পার্শ্ববর্তী এলাকার বিহারী ভাইদের প্রতি। তারা এই কৃষি মার্কেটে দুর্ঘটনা ঘটনার পর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই পুলিশ ভাইদের প্রতিও।
তিনি বলেন, দোকানদার ভাইয়েরা, আপনাদের আশ্বস্ত করার, সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। আমি পবিত্র ওমরা পালন করে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছিলাম। আমার কানে অনেক কথা এসেছিল। আমি সেদিনও আপনাদের বলেছিলাম, আমার ১৭তলা, ১৯তলা ভবন দরকার নেই। এখানে যে শেড ছিল, সেই শেড করেই মার্কেট চালু করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ সলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।