নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড
dhaka post today
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর বংশাল ও মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকারসহ বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ২০১৩ সালে হরতাল-অবরোধ চলাকালে রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলায় ২৩ জনকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বংশাল থানার এ মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকার, বিএনপি নেতা মো. মোহন, জালাল আকমল, মো. মাহবুব, মাওয়া মাসুম, বাংগাল সিরাজ, মো. ইউসুফ, রাজু হালদার, সেলিম, আ. রহমান, মিঠু, জহির, মো. ফারুক, জোবায়ের আলম, মো. আজিম, ইকবাল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মো. রাসেল, মজিবুল হাসান, মো. ভূবন, শাখাওয়াত হোসেন, আরিফ হোসেন ও কবির আহম্মেদ মুকুল।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিল ৪০ জন। সাজাপ্রাপ্ত ২৩ আসামি বাদে বাকি ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
হরতালে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর ৩৩ জনের নাম উল্লেখপূবক ২০-২২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বংশাল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২০ জুলাই ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মো. কবির হোসেন ও খন্দকার আতরাব হোসেনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ১৩ জন। বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল হরতালে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন উপ-পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন।