রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারব কশীগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রার-দলিল
লেখকদের দ্বন্ধে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ
রতন ইনতিসার,বকশীগঞ্জ(জামালপুর)সংবাদদাতা ॥
বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকরা মুখোমুখি অবস্থানে অনড় রয়েছেন। গত ৯ নভেম্বর থেকে সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। দলিল লেখকরা সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন দাবিতে কর্মবিরতী পালন করছেন। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম। হচ্ছেনা কোন দলিল রেজিস্ট্রি। এতে দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমির দাতা-গ্রহীতারা। অপরদিকে জমির দলিল না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা যায়,সপ্তাহে দুইদিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার অফিস করেন সাব রেজিস্ট্রার। দুইদিনে গড়ে প্রায় শতাধিক দলিল হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দলিল লেখকরা সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের দাবিতে কর্মবিরতী পালন করছেন। অন্যন্যা দিনের মত সাবরেজিস্ট্রার অফিসে কোন হইচই নেই। নেই জমির দাতা গ্রহীতাদের কোন ভিড়।
জনসমাগম এলাকা একদম জনশূন্য। অফিসের দোতলায় বসে আছেন সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। তারও অন্যদিনের মত নেই কোন ব্যাস্ততা। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের দ্বন্ধের কারনে কেউ আসেনি জমির দলিল করতে। দ্বন্ধের কারনে জমি রেজিস্ট্রি না হওয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অপরদিকে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম ঘোষনা দেন দলিল লেখকদের ছাড়াই দলিল করা যাবে। যে কেউ জমির রেজিস্ট্রি করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করলেই দলিল করে দিবেন তিনি। তবে তার আহবানের কোন সাড়া মিলেনি। একজন মানুষও জমি রেজিস্ট্রি করতে আসেনি বলে জানান দলিল লেখকরা।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন,১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। যোগদানের পর দলিল লেখকদের সাথে বৈঠকে দলিল প্রতি বাড়তি সাড়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। দলিল লেখকরা বাড়তি টাকার বিষয়ে আপত্তি জানালে সনদ বাতিলের হুমকি দেন তিনি।
এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। তাই এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন,কি কারনে দলিল লেখকরা কর্মবিরতী পালন করছেন তা আমার জানা নেই। তবে সরকারি অফিস সরকারি নিয়মেই চলবে। নিজেও অনিয়ম করবো না কাউকে করতেও দেয়া হবে না। কেউ যদি জমি রেজিস্ট্রি করতে চায় তাহলে সরাসরি আমার কাছে আসবে। কোন দলিল লেখক লাগবে না। আমি সকল কাজ সম্পন্ন করে দিবো। আমি যদি নাও থাকি অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ করবো না।