তিন জোট ও দুটি রাজনৈতিক দল দুপুরে তারা মিছিল করে
তিন জোট ও দুটি রাজনৈতিক দল দুপুরে তারা মিছিল করে
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী তিন জোট ও দুটি রাজনৈতিক দল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখান করে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে তারা এ মিছিল করে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে বিএনপির আরেক যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চ। পল্টন মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল শুরু হয়ে বিজয় নগর, নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
এতে বক্তব্য দেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন।
সাইফুল হক বলেন, সরকার সারা দেশে বিরোধীদলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা করে মানুষ যেভাবে একটা সত্য, ন্যায়ে পথে দাঁড়িয়ে বিরোধীদলের আন্দোলনকে সফল করছে তার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। মানুষ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখান ও বর্জন করেছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, কত রঙ্গ এই দেশে, এখন দেশে রঙ্গ-তামাশা ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। যারা এখন ক্ষমতায় আছে, তারা আবারও ক্ষমতায় থাকত চায় মানুষের ভোট ছাড়া। তারা নির্বাচন করতে চায় একতরফা। বিভিন্ন দল থেকে কিছু লোক ভাগিয়ে নিয়ে এসে, লোভ দেখিয়ে, টাকা দিয়ে একটি দল বানায়। তারপর তাদের নিবন্ধন দেয়। তাদের দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে।
তিনি বলেন, আবার আমরা দেখেছি অনেকে বলে, ৪৪ দলের অর্ধেকের বেশি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তাহলে দেশ দুই ভাগ হয়ে আছে। কত যুক্তি, কত বুদ্ধিজীবী টকশোতে আসে রঙ্গ-তামাশা করতে। কারণ দেশের শাসকরা যখন রঙ্গ-তামাশা করে, তখন বাকিদের আর কি অবস্থা হবে। লুটপাট, ভোট ডাকাতি হচ্ছে এই সরকারের একমাত্র কাজ। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ভোট ডাকাতি করতে চায়, তাই করছে গত তিনটি নির্বাচনে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয় নগর আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল বের করে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে দিয়ে ঘুরে আবার বিজয় নগর এসে শেষ হয়। মিছিলে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
বিজয়নগর পানির ট্যাংকি সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নুরুল হক নুর বলেন, পাক হানাদার বাহিনীর মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। সারা দেশের কারাগারগুলো বিরোধী দলের নেতাকর্মীতে ভরে গেছে। একদিকে আওয়ামী লীগের গুলিস্তানের পার্টি অফিসে নির্বাচনী উৎসব চলছে। অন্যদিকে বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। এই হচ্ছে আজ দেশের অবস্থা।
বেলা ১২টার দিকে বিজয় নগর পানির ট্যাংকি সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে ১২ দলীয় জোট। মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদলের কার্যালয়গুলোকে অবরুদ্ধ রেখে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচনী সার্কাস চলছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের আরেকটি পাতানো নির্বাচনের জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আর সেই অনুযায়ী প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া হরতালের সমর্থনে একই পল্টন থেকে মিছিল বের করে অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি। আর বিঝয় নগর থেকে মিছিল করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।