সরকার অতীত স্বৈরাচারদের অনুসরণ ও অনুকরণে
সরকার অতীত স্বৈরাচারদের অনুসরণ ও অনুকরণে
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে সে নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে মন্তব্য করেছে এবি পার্টি। বুধবার (২২ নভেম্বর) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
আয়োজিত ওই অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু তার বক্তব্যে বলেন, সরকার অতীত স্বৈরাচারদের অনুসরণ ও অনুকরণে অর্থ ও আসনের বিনিময়ে বিভিন্ন দল এবং ব্যক্তিকে প্রহসনের নির্বাচনে অংশ করানোর মিশনে নেমেছে। এ মিশন অতীতে যেমন সফলতা পায়নি বর্তমানেও চরম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। কারণ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে সে নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি এখনও হবে না।
তিনি বলেন, সরকার একদিকে বিরোধী দলগুলোর ওপর নজিরবিহীন নিপীড়ন চালাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের সাজানো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনমূলক নির্বাচন করলে সরকার জনগণের কাছে অবৈধই থেকে যাবে, কোন লাভ হবে না। এ ধরনের একটি অপনির্বাচন করে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়া তো দূরের কথা তা দেশকে একটি গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দেবে।
বক্তব্যে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগ দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিচারপতিদের রাত পর্যন্ত কোর্ট বসিয়ে ভুয়া মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব বিএন নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসিরসহ অনেকেই।