বিএনপি’র আহবায়ক-সদস্য সচিবের পাল্টাপাল্টি অবস্থান 

0 ১০৯

বকশীগঞ্জে বহিস্কার নিয়ে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক-সদস্য সচিবের পাল্টাপাল্টি অবস্থান 

 

বকশীগঞ্জ(জামালপুর)সংবাদদাতা ॥

জামালপুরের বকশীগঞ্জে নৌকায় ভোট চাওয়ার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম নামে এক বিএনপি নেতাকে বহিস্কারের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মানিক সওদাগর ও সদস্য সচিব ফখরুজ্জামান মতিন। আহবায়ক মানিক সওদাগর বলছেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সাইফুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে।

অপরদিকে সদস্য সচিব ফখরুজ্জামান মতিনের দাবি সাইফুলকে বহিস্কার দলীয় গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। এছাড়া আহবায়ক চাইলেই একা কাউকে বহিস্কার করতে পারেন না। বুধবার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিস্কার করা হয়। সাইফুল ইসলাম মেরুরচর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও বকশীগঞ্জ কাচাঁবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।

 

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর রোববার বকশীগঞ্জ কাচাঁবাজার সমিতির সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সওদাগর ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান। সভাপতিত্ব করেন কাচাঁবাজার সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম। ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নূর মোহাম্মদের পক্ষে নির্বাচনে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান সাইফুল ইসলাম।

বিষয়টি তাৎক্ষনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কার পত্রে স্বাক্ষর করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর। পত্রে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সাইফুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফখরুজ্জামান মতিন তার ফেইসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর একক সিদ্ধান্তে মেরুরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে বহিস্কার করেছে,যাহা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

 

এ ব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান,আমি কাচাঁবাজার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিসেবে মতবিনিময় সভায় ছিলাম। সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি,দলীয় নেতা হিসেবে নয়। তিনি দাবি করেন দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে বহিস্কারের ক্ষমতা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এর নেই।

 

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফখরুজ্জামান মতিন বলেন,বিএনপির আহবায়কের একক স্বাক্ষরে সাইফুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। দলের কারো বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকলে জেলা কে অবহিত করে অব্যহিত বা শোকজ করা যেতে পারে তাও আহবায়ক এবং সদস্য সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে। একক স্বাক্ষরে বহিস্কারের সুযোগ নেই। তাই সাইফুল ইসলাম স্বপদেই বহাল আছেন বলে জানান তিনি।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সাইফুল ইসলাম নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন,এটা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। তাই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাকে দলীয় পদ ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.