বিজয়ের ৫৩ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে পতাকা র‍্যালি

0 ৭৬

বিজয়ের ৫৩ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে পতাকা র‍্যালি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন মানুষ ভোটও দিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিজয়ের ৫৩ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে পতাকা র‍্যালির আগে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে এ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, পাকিস্তান আমলে মানুষ ভোট দিতে পারত, এখন মানুষ ভোটও দিতে পারছে না। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য এখন অনেক বেশি। সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পরও দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ হলেও এখন সর্বক্ষেত্রে চরম বৈষম্য চলছে। দেশবাসী একটি লাল-সবুজ পতাকা ছাড়া আর কিছুই পায়নি।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন ঘোষিত দেশব্যাপী বিজয় র‍্যালি কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি অনেক জেলায়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি ‘তামাশার নির্বাচন’ থেকে সরে দাঁড়ানো এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানান।

এসময় আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসা করে দেশকে ধ্বংস করছে। অর্থ পাচার, লুটপাট করছে। ১৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের স্মরণীয় দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবস পালন করতে পারছে না জনগণ। অনেক জেলা শাখাকে বিজয় র‍্যালি করতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মানবাধিকারসহ রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌলিক স্লোগান সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় থেকে জাতি বঞ্চিত। দেশে বিচার নেই, সর্বত্র দলীয়করণ চলছে। সর্বত্র সাম্যের বিপরীতে বৈষম্য সৃষ্টি করে রেখেছে সরকার।

মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, দলকানা নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দোহাই দিয়ে ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিলও বন্ধের চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, বিজয় মানেই আনন্দ। আজ বিজয়ের আনন্দ জনগণের মধ্যে নেই। বাজার করতে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ জর্জরিত। বুকফাটা কান্না আর কান্না পরিলক্ষিত হয়। এই কি স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ। এজন্য কি মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন?

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধে চেতনার নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সর্বত্র দলীয়করণ করেছে। ৫৩ বছরে মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পায়নি। এখনো রাজপথে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানাতে হচ্ছে।

সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে ‘মহাসংকট’ থেকে বাঁচানোর আহ্বান জানান তিনি।

পরে একটি পতাকা র‍্যালি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.