মহান বিজয় দিবসে শহীদ মিনার অবহেলিত
মহান বিজয় দিবসে শহীদ মিনার অবহেলিত ॥ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ছিলো পুস্পশূন্য
রতন ইনতিসার বকশীগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধি ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছিলো অবহেলিত। করা হয়নি আলোক সজ্জা। দেওয়া হয়নি ফুল। জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ছিলো মানুষের ঢল।
শুধু তাই না পরিস্কার পরিচ্ছন্নও করা হয়নি বকশীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ময়লা আবর্জনায় ভরা ছিলো শহীদ মিনার। এ বছরই এ ধরণের ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটে বকশীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিষ্ঠা হয় বকশীগঞ্জ কেন্দ;্রীয় শহীদ মিনার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দিবস গুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আলোকসজ্জা করা হয়। প্রশাসন,বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে থাকে।
ফুলে ফুলে ভরে যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবসের সকল অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে অনুষ্ঠিত হলেও স্থানীয় প্রশাসনসহ কোন প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি। মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধার জায়গা শহীদ মিনার ছিলো ফুল শুন্য। জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে ছিলো মানুষের ঢল। বিনাবাধায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠেই শহীদ মিনার মাঠের বিজয় অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন।
শহীদ মিনার মাঠের পাশেই মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে প্রতিষ্ঠিত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও ফুল দেওয়া হয়নি। মুক্তিযোদ্ধারাও ফুল দেয়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে নবনির্মিত বিজয় মুক্ত মঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনসহ একাধিক সংগঠন।
এব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজ উদ্দন জানান, শহীদ মিনারে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ছিলাম। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে না করা হয়েছে। তাই ফুল দেওয়া হয়নি। তবে ফুল না দেওয়া ভুল হয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার অহনা জিন্নাত জানান, বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়না। তাই পুল দেওয়া হয়নি। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, উপজেলা ক্যাম্পাসের ভেতরেই বিজয় মুক্ত মঞ্চ আছে। তাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হয়নি। তবে দিলে ভালো হত। মুক্তিযোদ্ধা সংসদে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়ার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তাব দিলে অবশ্যই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হত। তবে প্রতি বছর যেহেতু দেওয়া হয় এবারও দিলে ভালোই হত।