নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হবে

0 ৮৫

 নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হবে

 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহারে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করার পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনে গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় পার্টি। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার অর্থাৎ নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিধান করা হবে। নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। সন্ত্রাস, অস্ত্র ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন অর্থাৎ উপজেলা আদালত ও পারিবারিক আদালতসহ পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা চালু করা। স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করে এবং নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে উপজেলার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

অন্যদিকে ইশতেহারে সুশাসনের বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে পার্টির মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা হবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি নির্মূল করতে দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত, জনপ্রতিনিধিদের রাষ্ট্রীয় বাজেট তৈরি ও বাস্তবায়নে সংযুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে অপচয় ও অপব্যবহার বন্ধ করা হবে। গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত রেখে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। অন্যদিকে বাজেট ও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ব্যতীত ৭০ ধারা সংশোধনের মাধ্যমে সব প্রতিনিধিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আওতায় এনে সংসদ কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.