জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয় এমপিওভুক্তিসহ প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিযোগ

0 ১০৩

জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয় এমপিওভুক্তিসহ প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিযোগ।

 

বকশীগঞ্জ( জামালপুর) প্রতিনিধি

 

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খেয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় এমপিও ভুক্তি ও অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা পেতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপÍর ঢাকা বরাবর একটি আবেদন করার অভিযোগ পাওয়া যায় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে।

 

অভিযোগে জানা গেছে, খেয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ সহকারি প্রধান ফরিদা পারভীনের নিয়োগকালীন গোপনে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ভুয়া লিখিত পরিক্ষা, ভূয়া সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিয়োগ কমিটির সদ্যাসের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল শীট তৈরী করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পূর্ন করা হয়।

 

এছাড়াও ফরিদা পারভীনের নিয়োগের সময় শিক্ষাগত যৌগ্যতা শুধু মাত্র( বি.এ) পাশ ছিলো। তার অন্য কোন যোগ্যতাও ছিলো না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষকের যৌগ্যতা (বি.এ, বি.এড ) ও দশ বছরের সহকারি শিক্ষক হিসেবে নীতিমালায় অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তার এগুলো কোনাটায় ছিলনা । তার নিয়োগ কালীন সময় বিদ্যালয়টি ছিল একটি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

 

আর শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী নিন্ম মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষকের কোন পদ নেই। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অমান্য করে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান আর্থিক লোভে যোগ্যতাবিহীন একজন ব্যাক্তিকে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা মোজাম্মেল হক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত জামালপুর একটি অন্তবর্তীন কালীন নিষেদাআজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করলে (মোকাদ্দমা নং ২২৩/২০২৩) মামলাটি চলমান রয়েছে। মোকাদ্দমা থাকাসত্বেও প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষকের নামে বিদ্যালয় এমপিওভুক্তির জন্য যাবতীয় কাগজপত্র শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন।

 

এব্যাপারে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়টি আইনগত সেক্ষেত্রে বিষয়টি আইনগত ভাবে সমাধান হবে এবং প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি ও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈধতার জন্য মাধ্যামিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর যাবতীয় কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর যাচাই বাচাই অনুমোদন দিবেন।

রতন ইনতিসার

Leave A Reply

Your email address will not be published.