সহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ
রবিউল হাসান ডব্লিউ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এক সাহকারি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে চাকুরির নামে নিয়োগ বানিজ্যর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে
উপজেলার আদমপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মোঃ হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রচশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালিয়টি প্রতিষ্ঠিত হবার পর । ওই অধ্যাপক মোঃ হানিফ আদমপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন তাহার ইনডেক্স নং খঊঈই৪৭২৬৫২ । ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃমোসলেম মৃধা মরা যাবার পর। পেশি শক্তি ও অবৈধ প্রভাব বিস্তর করে ২০২০ সালে এডহক কমিটির সভাপতি এবং ২০২২সালে সভাপতি হন মোঃ হানিফ। ২০২৩ সালে নতুন কমিটিতে আবুল হোসেন রাড়ি হন সভাপতি ।
বিদ্যালয়টিতে ২০১৪ সালে মোঃ রেজাউল করিমকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবার পর থেকে দায়িত্বভার বুজিয়ে দেন। কিন্তু সভপতি আবুল রাড়ির যোগশাজসে মোঃ হানিফ নিজেকে অবৈতনিক প্রধান শিক্ষক দাবি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে চাকুরি দেবার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে বিদ্যালয়ের মানসন্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেক্ষ করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দশমিনা শাখার সভাপতি একাধিকবার সমাধানের জন্য বসলে কোন সমাধা হয়নি।
অভিযোগ কারি চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর মোঃ হানিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা শুনেছি। কয়েকজন লোক বিদ্যালয়ে এসে আমার সাথে জামেলা করে। এত দিন আমি কিছুই বলিনি। আজ নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দশমিনা উপজেলা শাখার সভাপতি কাজী আনোয়ার জানান, মোঃ হানিফ এর বিষয়ে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার নালিশ এসছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিকবার বসেছি হানিফ একবার আসলে পারে আর আসেনা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মোঃ হানিফ জানান, আমার বিরুদ্ধে চাকরি দেবার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা মিথ্যা। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা জানান, জরুরী মিটিংএ পটুয়াখালী আছি। অভিযোগ আমার দপ্তরে আছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।