আইয়ুব’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
আইয়ুব’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
নিজস্ব সংবাদদাতা :
*পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা এলাকায় চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক প্রধান আসামি আইয়ুব’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।*
র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার মামলা নং- ২৬, তারিখ-২১/১১/২০২৩, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬ দন্ডবিধি এবং সংযোজন- দন্ডবিধি ৩০২ ধারা; মামলার এজাহার নামীয় পলাতক প্রধান আসামী মোঃ আইয়ুব আলী (৩০), পিতা-মৃত ইদ্রিস সরদার, সাং-ধরান্দী, থানা-গলাচিপা, জেলা- পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম সোহাগ ও আসামিরা পরস্পর নিকট আত্মীয়। ভিকটিম সোহাগের সাথে আসামীদের টাকা লেনদেন নিয়ে পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২০/১১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.৩০ ঘটিকার সময় আসামী আইয়ুবসহ অন্যান্য আসামীরা পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানাধীন বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় একটি ঔষধের দোকানের সামনে অবস্থান করে।
এসময় ভিকটিম উক্ত স্থানে আসা মাত্র পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা তাদের সঙ্গে থাকা লাঠি-সোটা, লোহার রড দিয়ে ভিকটিম সোহাগকে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। ভিকটিমের ডাকচিৎকারে আসে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা উক্ত ঘটনাস্থল হতে চলে যায় ।
পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,বরিশালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম গত ২৮/১১/২০২৩ তারিখ রাতে মৃত্যুবরন করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর থেকে রাজধানীর সবুজবাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।