সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ৫ জন যাত্রী নিহত
সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ৫ জন যাত্রী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে রশির আঘাতে পন্টুনে থাকা ৫ জন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখা একটি লঞ্চে যাত্রীরা ওঠানামা করছিলেন। হঠাৎ ওই লঞ্চ এবং পাশের আরেকটি লঞ্চের মাঝ দিয়ে অন্য একটি লঞ্চ ঢুকে পড়ে। অনুপ্রবেশ করা লঞ্চের ধাক্কা খেয়ে পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে ৫ যাত্রী নিচে পড়ে গিয়ে নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে।
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় অপর লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক, নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে।
ঈদের দিন দুপুরে এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চ ঘাটে বাঁধা ছিল। ফারহান-৬ সেটিকে ধাক্কা দিলে তাশরিফের রশি ছিঁড়ে রশির আঘাতে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহতরা হলেন, রবিউল (১৯), রিপন হাওলাদার (৩৮), মাইশা (৩), মুক্তা (২৩) ও বেলাল (২৫)।