বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বুরাপাড়া এলাকার ওহিদুল, আবুল হাসেম, জাহাঙ্গীর, মজনু, শরিফুল, খোকন, শফিকুল, আনারুল, রেজাউল, আবুল কালাম আজাদ, আনারুল হক ও হাসান। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের নিজেদের নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে দাবি করেছে জামায়াত।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবিদ হাসান জিসান বলেন, আহত অবস্থায় তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা নিয়ে বিদ্যালয়ে মিটিং চলছিল। কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন। জামায়াতের নেতা মুকুল হোসেন প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন বিএনপি নেতা নাসির ও তার লোকজন। কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। একপর্যায়ে রোববার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন।
আহতরা বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতা নাসির আমাদের ওপর হামলা করেছে। হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাসির ও তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সোজা উদ্দিন জোয়ার্দার বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মুকুল হোসেনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রার্থী করা হয়। সে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও স্কুলের সভাপতি প্রার্থী নাসির বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেন। এর প্রতিবাদে স্কুল মাঠে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নাসিরের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও স্কুলের সভাপতি প্রার্থী নাসির উদ্দিন এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।