গুড ডিল ট্রেড হোমের প্রতারনা ও চেক জালিয়াতির অভিযোগ
গুড ডিল ট্রেড হোমের প্রতারনা ও চেক জালিয়াতির অভিযোগ, মামলা তদন্তে পিবিআই !
স্টাফ রিপোর্টার:
গুড ডিল ট্রেড হোমের প্রতারনা ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা তদন্তে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
গত ১১/০২/২০২৪ইং তারিখে সকাল ১১:০০ ঘটিকায় এলাকার প্রতিবেশি প্রতারক মো: মারুফ খান ব্যবসায়িক আলোচনার সূত্রে সম্রাট ফুড প্রোডাক্টস এর এমডি মাহমুদুল হাসানকে (গুড ডিল ট্রেড হোম) মিরপুর ডি ও এইচ এস এর অফিসের চক্রের মূল হোতা জেনারেল ম্যানেজার মো: আব্দুস সামাদ,ও ডিএমডি মো: জাহিদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়।
আলোচনার একপর্যায়ে, তাদের সঙ্গে, সম্রাট ফুড প্রোডাক্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মাহমুদুল হাসানের ১৩,২০০০০/- (তেরো লক্ষ কুড়ি হাজার) টাকায় ১,২০০ কেজি ঘি ও ১,২০০ কেজি বাটার ওয়েল বাবদ একটি ব্যবসায়িক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ৩০% অর্থাৎ ৩,৯৬,০০০/- (তিন লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা নগদ এবং বাকি ৭০% অর্থ ৯,২৪,০০০/- (নয় লক্ষ চব্বিশ হাজার) টাকা ১৫ দিনের মধ্যে চেক বাবদ প্রদান করার শর্তে চুক্তি সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে, ১৭/০২/২০২৪ তারিখে মাহমুদুল হাসান গুড ডিল ট্রেড হোম এর গোডাউনে ১,২০০ কেজি ঘি ও ১,২০০ কেজি বাটার ওয়েল সরবরাহ করে। কিন্তু‘ ৩০% অর্থাৎ ৩,৯৬,০০০/- (তিন লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা নগদ দেয়ার কথা থাকলেও তারা দুটি চেক ধরিয়ে দেয়। মাহমুদুল হাসান প্রথম চেক ১৮/০২/২০২৪ তারিখে ব্যাংকে জমা করার পরেও ৩,৯৬,০০০/- টাকা বুঝে পায় না।
একইভাবে, ৯,২৪,০০০/- টাকার আরেকটি চেক প্রদান করে, যা ০৪/০৩/২০২৪ তারিখে ব্যাংকে ক্যাশ করার কথা। তবে প্রথম চেকের ৩,৯৬,০০০/- টাকা এবং দ্বিতীয় চেকের ৯,২৪,০০০/- টাকা এখনো বুঝে পাননি। ব্যাংক থেকে যানা যায় এই একাউন্টে কোনো টাকা নেই। এ বিষয়ে গুড ডিল ট্রেড হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার অফিসে যেয়ে যোগাযোগ করলে দিবো দিচ্ছি বলে আর কোনো সমাধান দেননি। বরং গুড ডিল ট্রেড হোম কর্তৃপক্ষ মাহমুদুল হাসানকে প্রতিবার তাদের কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার বাটপার মারুফের মাধ্যমে টাকা দিবে বলে শান্ত করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি,ও হত্যা করার, হুমকি প্রদান করেন, উক্ত কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার বাটপার মারুফ খান।
এ বিষয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার এ স আই হাসান মিয়া, মাহমুদুল হাসানকে মিরপুর পল্লবী থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। অত:পর মাহমুদুল হাসান পল্লবী থানায় যোগাযোগ করলে পল্লবী থানার একজন ডিউটি অফিসার মাহমুদুল হাসানকে মিরপুর ডিওএইচএস পরিশোধে অভিযোগ করতে বলেন। মিরপুর ডিওএইচএস পরিশোধে যাওয়ার পর তারা মাহমুদুল হাসানের অভিযোগ পত্রে মিরপুর ডিওএইচএস পরিশোধ সিল দিয়ে থানায় যেতে বলেন।
ভুক্তভোগী থানায় যাওয়ার পরে থানা থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে না দেখে মাহমুদুল হাসান গত ২৮/১২/২০২৪ তারিখে জর্জ কোট, ঢাকা আদালতে মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ১১৬৫/২০২৪(মিরপুর) ধারা: ৪২০/৪০৬/৫০৬ দ: বি:। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই এর নিকট পক্রিয়াধীন আছে। ভুক্তোভোগী মাহমুদুল হাসান বলেন আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
গুড ডিল ট্রেড হোম এর এমডি মো: মশিউর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা, তিনি এই পরিচয় দিয়েই মানুষের সাথে প্রতারণামূলক ব্যবসা দীর্ঘদিন থেকে করে আসছেন। যানা যায় গুড ডিল ট্রেড হোম এর এমডি মো: মশিউর রহমান পালিয়ে যাওয়া হাসিনা সরকারের দোসর এবং ফ্যাসিস্ট আমল থেকেই নানান দুর্নীতির সাথে জড়িত। আরো জানা যায় এই প্রতারক চক্র গুড ডিল ট্রেড হোম, জেকে বিজনেস কর্পোরেশন লিঃ, জেকে ট্রেড কর্পোরেশন। এই তিন নামের মাধ্যমে সম্রাট ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানি সহ আরো অনেক মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে।