চাঁদা না দেওয়ায় চাঁদাবাজদের গুলিতে একজন গুরুতর আহত

0 ৩৬

চাঁদা না দেওয়ায় চাঁদাবাজদের গুলিতে একজন গুরুতর আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা :

*বাড্ডায় চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে গুলি, বাড্ডা থানা পুলিশ কর্তৃক অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ গ্রুপের দুই সদস্য গ্ৰেফতার*

রাজধানীর বাড্ডায় চাঁদা না দেওয়ায় চাঁদাবাজদের গুলিতে একজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ গ্রুপের দুই সদস্যকে গ্ৰেফতার করেছে ডিএমপির বাড্ডা থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের নাম- ১। মো: দেলোয়ার হোসেন (৫৭) ও ২। মো: নূর আলম অনি (৩৩)।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) রাত ৮:৪০ ঘটিকায় দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

বাড্ডা থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) বাড্ডা থানার চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা জনৈক মো: জুয়েল খন্দকারের কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ গ্রুপ। সে সময় তিনি চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ের একটি মহিলা সমিতির মিটিংয়ে ছিলেন। তিনি দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিছু সময় পর ৫/৬টি মোটরসাইকেলযোগে ১১/১২ জন দুষ্কৃতকারী মহিলা সমিতিতে আসে। জুয়েল সমিতির মিটিং থেকে বের হয়ে আসলে দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে সুমন পিস্তল বের করে জুয়েলের ডান পায়ে গুলি করে।

জুয়েল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুষ্কৃতকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত জুয়েল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. তারিখে ভিকটিম মো: জুয়েল খন্দকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড্ডা থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলা রুজুর পর বাড্ডা থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত দেলোয়ার ও নূর আলম অনিকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা ও তার সহযোগীরা পেশাদার চাঁদাবাজ গ্রুপের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বাড্ডা এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.