প্রকাশে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন
প্রকাশে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পরিবেশের ওপর পলিথিনের ক্ষতিকারক প্রভাবের বিবেচনায় ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ করার পর এক বছর ব্যবহার কম হলেও পরবর্তীতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
নিষিদ্ধ এই পলিথিনের ব্যবহার রাস টানার কথা ছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। কিন্তু উল্টো পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে নির্বিঘ্নে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করতে দিচ্ছে পুলিশ!
রাজধানীর শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে মাসোহারা টাকা নিয়ে থানা পুলিশ নির্বিঘ্নে পলিথিন ব্যাগের পাইকারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং শ্যামপুর এলাকায় পলিথিন ব্যাগের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে সাংবাদিকদের কাছে তারা এ অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, দোকানদার ও ক্রেতাদের কাছে পলিথিন ব্যাগের চাহিদা আছে বলেই আমরা বিক্রি করি।
পলিথিন ব্যাগ তো আমরা উৎপাদন করি না। রাজধানীর চকবাজারে কারখানায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন হয়।
প্রশাসন সব জানে, শুধু আমাদের দোষ না। তাছাড়া এলাকায় পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করার জন্য আমরা প্রতি মাসে শ্যামপুর মডেল থানায় মাসোহারা দেই।
শ্যামপুর বালুর মাঠ জুরাইন বাজারের পাইকারি পলিথিন ব্যাগের ব্যবসায়ী মো. খোকন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রির জন্য প্রতি মাসে পুলিশকে আমরা মাসোহারা দেই।
সুফিয়ান দীর্ঘদিন ধরে এই নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা করে আসছে। সত্যতা স্বীকার করে তারা জানায়,শ্যামপুর থানার দুই পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে থানা ম্যানেজ করে এই পলিথিনে ব্যবসা করে আসছে।
পলিথিনের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে টাকা পৌঁছানোর কারণে পলিথিন বিরোধী কোনো অভিযান হয় না। তারা এখন নির্ভয়ে বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করছেন।
তবে ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে এড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে শ্যামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি না, আমার কাছে কোনো তথ্য নেই, আর কোনো মন্তব্য না করে তিনি কল কেটে দেন।