ইসলামী বীমার আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা ও রুপরেখা শীর্ষক সেমিনার
ইসলামী বীমার আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা ও রুপরেখা শীর্ষক সেমিনার
মোঃ এহছানুল হক
আজ, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ তাকাফুল ফোরাম (বিটিএফ) এর উদ্যোগে ইসলামী বীমার আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা ও রুপরেখা শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেমিনারে ইসলামী বীমা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আইনি কাঠামো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়, যা বাংলাদেশের বীমা খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান সম্পাদক, দৈনিক আমার দেশ। তিনি তার বক্তব্যে ইসলামী বীমার গুরুত্ব ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অবদান তুলে ধরেন। মাহমুদুর রহমান বলেন, “ইসলামী বীমা শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য নৈতিক, আধ্যাত্মিক এবং সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রস্তাব করে।”
তিনি আরও বলেন, “ইসলামী বীমার আইনি কাঠামো তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে এটি সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং দেশের বীমা খাতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়।”
*মোঃ আপেল মাহমুদ*, বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি ইসলামী বীমার বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ইসলামী বীমা এখনও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু এর সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। ইসলামী বীমা সমাজের অসাম্প্রদায়িক চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে আইনগতভাবে কাঠামোবদ্ধ করা যায়।”
ড. আ ক ম আবদুল কাদের প্রধান আলোচক হিসেবে সেমিনারে ইসলামী বীমার আইনি কাঠামো এবং রুপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সেমিনারে ইসলামী বীমার আইনি কাঠামোর গুরুত্ব এবং দেশের বীমা খাতে ইসলামী বীমার অন্তর্ভুক্তি এবং এর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও আইন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ইসলামী বীমা সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে এবং এর সঠিক আইনি কাঠামো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে।
সেমিনারটি ইসলামী বীমা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এর আইনি কাঠামো তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরে, যা দেশের অর্থনীতি ও জনগণের কল্যাণে নতুন দিক উন্মোচন করবে। এতে দেশের বীমা খাতের জন্য একটি সুষম, স্বচ্ছ এবং ন্যায্য পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে, যা ইসলামিক ফাইন্যান্সের মূলনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।
এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইসলামিক বীমার ভূমিকা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।