দেশের সব লুটেরা ও সন্ত্রাসীকে জেলখানায় দেখতে চাই

0 ৪৩

দেশের সব লুটেরা ও সন্ত্রাসীকে জেলখানায় দেখতে চাই , আগে চব্বিশের অপরাধের বিচার, তারপর নির্বাচন : জেএসএফ বাংলাদেশ

 

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ

 

জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম জেএসএফ বাংলাদেশ এর পক্ষে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গত ০৮ ফেব্রুয়ারিএক বিবৃতিতে বলেছেন,এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৫৭২ জন নেতা ও তাদের দোসরদের জামিন হয়েছে। ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডিবি অফিসে নিয়ে ছয় কোটি টাকা চাঁদা আদায় চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির তিন দিনেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন, তিনি সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের সিন্ডিকেটের প্রধান এস এস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক। গণহত্যার মামলার আসামিরা কীভাবে জামিন পাচ্ছে, আমরা সরকারের কাছে সেটির স্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাই।খবর বাপসনিউজ ।

আমাদের সবাইকে গণতান্ত্রিক শক্তির স্বপক্ষের লোকদের সতর্ক পদক্ষেপ রাখতে হবে। কোনো নৈরাজ্যের কারণে কেউ যাতে কোনো সুযোগ না নিতে পারে। এটাও মনে রাখতে হবে- প্রতিবিপ্লব উঁকিঝুঁকি মারে সবসময়, এ উঁকিঝুঁকি যাতে দিতে না পারে।আগে চব্বিশের অপরাধের বিচার, তারপর অন্য কাজ। এ বিচার না হলে শহীদদের আত্মার সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। তাদের আত্মা কষ্ট পাবে। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে চলার সুযোগ পেয়েছি তাদের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারবো না।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষদের সঙ্গে প্রবাসীরাও সাহসী ভূমিকা রেখেছে। তাদের প্রতিবাদ এবং রেমিট্যান্স বন্ধের যুদ্ধ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। অথচ প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন। সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের প্লেনের টিকিটের মূল্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আকাশচুম্বী হয়েছে, দেখার কেউ নেই।

এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা-নাগরিকদের গণঅভ্যুত্থানে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানো অপরাধীদের কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, সরকারের কাছে সেটি জানতে চাই। সহস্রাধিক মানুষ হত্যা, হাজার হাজার পঙ্গু ও আহত হওয়ার এই বর্বরোচিত ঘটনা ও ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার সঠিক বিচার না হলে বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই গণহত্যার বিচার হতে হবে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার, জেলে ও দেশের বাইরে রেখে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর নয়। সচিবালয়ে গিজগিজ করছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা। পুলিশ-প্রশাসন-আদালতে তারাই সবকিছু করছে। অবিলম্বে ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে না পারলে আবারও হাসিনার দোসরদের পরাস্থ করা কঠিন হবে।

গাজীপুরে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের দ্বারা ছাত্র-জনতার ওপরে হামলার ঘটনাই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হাজারো শহীদের কসম- সুশীল ভূমিকা থেকে বের হয়ে আসেন। বিপ্লবী সরকার গঠন করেন, আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি এবং ভারতের নীলনকশা শক্ত হাতে প্রতিহত করুন। নতুবা ইতিহাসের কাঠগড়ায় একদিন আপনাদেরও দাঁড়াতে হবে।

আমরা গণতন্ত্রের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাব। আমরা দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী এবং আমাদের সার্বভৌমত্ববিরোধী, আমাদের ইতিহাস-সংস্কৃতি আবহমান বাংলার যা কিছু আছে সেটার চর্চা-অনুশীলন এবং সেটিকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কখনোই অন্যের হস্তক্ষেপকে মেনে নেব না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.