গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে শহিদ হন হাসান

0 ৩৭

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে শহিদ হন হাসান

ভোলা প্রতিনিধি

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। আওয়ামী সভানেত্রীর পলায়নের খবরে রাজধানীসহ সারা দেশে বের হয় বিজয় মিছিল। এরকম বিজয় মিছিলে গিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শহিদ হন হাসান। কিন্তু এতদিন তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশেষে দীর্ঘ ৬ মাস পর হাসানের পরিচয় মিলেছে। হয়েছে জানাজাও। পরে তাকে দাফন করা হয়।

শহিদ হাসান ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নের সামাদার গ্রামের বাসিন্দা। যাত্রাবাড়ীর কাপ্তাই বাজারে ভগ্নিপতির ইলেকট্রনিক দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

সবশেষ কয়েক মাস ধরেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পড়ে ছিল হাসানের লাশ। পাওয়া যাচ্ছিল না তার পরিচয়ও। অবশেষে ডিএনএর মাধ্যমে হাসানকে শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর কারে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। আর শনিবার সকালে মরদেহ ভোলায় নেওয়া হয়।

হাসানের মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনেরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কাচিয়া শাহামাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হাসানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন কয়েকশ মানুষ। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে হাসানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা লাশ নিয়ে কফিন মিছিল করেন।

কান্না করতে করতে হাসানের বড় বোন শাহনাজ বেগম বলেন, ‘আমার ভাই কি দোষ করল যে, তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে হয়েছে। আমরা দীর্ঘ ৬ মাস পর ভাইয়ের লাশ পেয়েছি। আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার চাই।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.