নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া এলাকার সড়ক অবরোধ

ওই পোশাক কারখানার সুইং অপারেটর মিঠু চন্দ্র দাস বলেন, কিছুদিন পূর্বে একটা আন্দোলন হয়েছিল। এই আন্দোলনে কারণে আমাদের শ্রমিকদের নামে মামলা হয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে। মাস্তানদের দিয়ে শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা মামলা প্রত্যাহার পুলিশি ও মাস্তানদের দ্বারা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা গার্মেন্টস ও সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি এম এ শাহীন বলেন, শ্রমিকরা তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে না। কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত করা হয়। প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিকের গত মাসের বেতন এখনও দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, সেই সাথে ২৭ জন শ্রমিকের নামে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। এলাকার মাস্তানদের লেলিয়ে দিয়েছে। আজকে হঠাৎ করেই গার্মেন্টস বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। শ্রমিকদের দাবি কারখানা খুলে দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে পুলিশ হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ঝুট সন্ত্রাসী দ্বারা ভয়-ভীতি বন্ধ করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, গার্মেন্টসে ভাঙচুরের ঘটনায় গার্মেন্টস মালিক ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা আজ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। এর ফলে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজীব চন্দ্র ঘোষ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই কারখানার শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা করে আসছিল। তাদের বিশৃঙ্খলার কারণে মালিকপক্ষ মামলা করে। আর তাই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে।