জামায়াত ও বিএনপি সমন্বয়কের বাড়িতে ভাঙচুর অভিযোগ
জামায়াত ও বিএনপি সমন্বয়কের বাড়িতে ভাঙচুর অভিযোগ
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী পৌর শিশুপার্ক-এলংগী সড়কের ধারে সমন্বয়ক আলীর বাড়ির প্রধান গেট, কাঠের দরজা, কাঁচের জানালা ও ঘরের আসবাবপত্রে ভাঙচুরের ক্ষত। সেগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাড়িতে নেই সমন্বয়ক আলী, তাঁর বাবাসহ পরিবারের কেউ। তবে, এলাকার পদ্মপুকুর এলাকায় ব্যাপক পুলিশের নিরাপত্তা টহল দেখা যায়।
এবিষয়ে মুঠোফোনে সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘বাবার সাথে জামায়াত ও বিএনপির রাজনৈতিক বিরোধ। সেই সূত্র ধরে জামায়াত-বিএনপির লোকজন বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিজেকে পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করে সমন্বয়ক আলীর বাবা আসাদুজ্জামান খান পাখি বলেন, ‘উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, পৌর বিএনপির আহবায়ক মনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া আনছার মিলন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান আতিকুর রহমান সবুজরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা বিভিন্ন মাধ্যমে চাঁদাবাজি-লুটপাট করছেন। সেগুলোর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা আমার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। পুলিশের সামনে তারা ভাঙচুর লুটপাট করলেও প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করছে না।’
এদিকে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়কের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামায়াত ও বিএনপির নেতারা। সমন্বক আলী ও তাঁর বাবা আসাদুজ্জামান খান পাখির বিরুদ্ধে কুমারখালীতে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে চাঁদাবাজী ও পুলিশ ব্যবহার করে আসামি বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন
পৌরসভার এলংগী এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতের আমির আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসাইন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, পৌর বিএনপির আহবায়ক মনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া আনছার মিলন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান আতিকুর রহমান সবুজ।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন বলেন, ‘৩ আগস্ট পর্যন্ত আসাদুজ্জামান আলী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৫ আগস্টে পর সমন্বয়ক সেজে আলী ও তাঁর বাবা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নিয়ে বাহিনী গঠন করে বালুরঘাট দখল, সড়কের কাজ বন্ধ করে পুলিশ দিয়ে নিরীহ মানুষ ধরিয়ে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে চাঁদাবাজ করছেন।’