সন্তানের পিতা ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সন্তানের পিতা ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ শহিদুল ইসলাম জনি
আজ মঙ্গলবার (১৮ই মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জুরাইন শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বৃষ্টি আক্তার নামে এক নারী আবেগ গণ পরিবেশে এ দাবি জানান ।
তার দুই মাসের মেয়ে রাফসা বাবার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ও তাদের ভরণপোষণও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বৃষ্টি আক্তার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার বাসাইল ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া গ্রামের নুরু ইসলামের মেয়ে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রবিন খান (২৮)। সে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মজিদপুর ইউনিয়নের মৌডুবি গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মালয়েশিয়ায় কর্মরত আছেন। বিল্লাল হোসেন নামে তার বড় ভাই ও তার সাথে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন।
সংবাদ সম্মেলন বৃষ্টি আক্তার বলেন, ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে সন্তানের পিতা রবিন খানের সাথে তার পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন তাদের সাথে পরিচয় সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায়। এক একপর্যায়ে তারা মুসলিম ধর্ম অনুসারে বিয়ে বা বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মালয়েশিয়ার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদেশী নাগরিকদের বিবাহ নিবন্ধন করা আইন বহির্ভূত ।
সে কারণে তার মৌখিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃষ্টি আক্তার গর্ভধারণ করে এবং রবিন খান ও তার আপন বড় ভাই বিল্লাল খানের পরামর্শে বাংলাদেশে ফিরে আসে। দেশে ফেরার ছয় মাসের মাথায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন বৃষ্টি আক্তার।
সন্তানের নাম রাখা হয় রাফসা। কিন্তু মেয়ের বয়স দুই মাস হলেও এখনও পিতার পরিচয় দিতে পারি নাই।
ওই নারী অভিযোগ করেন, গর্ভে সন্তান ধারণ করে বাংলাদেশে আসার পরেও রবিনের সাথে সম্পর্ক ছিল কিন্তু পরবর্তীতে পারিবারিক চাপে সে মোবাইল বন্ধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কুমিল্লাতে রবিনের বাড়িতে দু’বার যেও কোন সুরাহা করতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, রবিন আমার ও মেয়ের ভরণপোষণ দিচ্ছেন না এবং রাফসাকে অস্বীকার করছেন তার পরিবার।