থানাগুলো থেকে লুট হওয়া অস্ত্র আট মাসেও উদ্ধার করা যায়নি
থানাগুলো থেকে লুট হওয়া অস্ত্র আট মাসেও উদ্ধার করা যায়নি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গত ৫ আগস্ট দেশের থানাগুলো থেকে লুট হওয়া পুলিশের প্রায় এক হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখ রাউন্ড গুলি আট মাসেও উদ্ধার করা যায়নি। সেসব অস্ত্র দিয়ে ছিনতাই-ডাকাতি এমনকি খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে অপরাধীরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র যতদিন দুষ্কৃতিকারীদের কাছে থাকবে ততদিনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা থাকবে।
পুলিশ সদর দফতর বলছে, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।
এসব অস্ত্র দিয়ে শুরু হয় ছিনতাই ডাকাতির মতো ঘটনা। অস্ত্র উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর অভিযান। অপরাধীদের কাছ থেকে ও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় চার হাজার ৩৭১টি অস্ত্র ও সাড়ে তিন লাখের বেশি গোলাবারুদ। এখনো উদ্ধার করা যায়নি প্রায় এক হাজার ৪০০টি। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে তাই তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা শঙ্কা।
পুলিশ সদর দফতরও জানিয়েছে, ঈদের নিরাপত্তায় এসব অস্ত্র উদ্ধারে বাড়ানো হয়েছে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশের যে অস্ত্রগুলো বাইরে রয়েছে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই অস্ত্রগুলো যেনো কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার না হয় সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।
তবে, আট মাসেও লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ত্রুটি দেখছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসব অস্ত্র উদ্ধারে জোরালো অভিযানের পরামর্শ তাদের।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, যতদিন সবগুলো অস্ত্র উদ্ধার না হবে ততদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটা অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া বা সংঘাত সহিংসতাসহ অন্যান্য যে কোনো অপরাধ সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট শঙ্কা থেকেই যাবে