খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হয়েছে বৈসাবি
খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হয়েছে বৈসাবি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
পাহাড়ি তিন জাতিগোষ্ঠী- চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব বৈসাবি খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় খাগড়াছি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এই বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজিএফআই-এর ডেট কমান্ডার কর্ণেল আতিকুর রহমান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃঞ্চ চন্দ্র চাকমা, এনএসআই-এর যুগ্ম পরিচালক নাছির মাহমুদ গাজী, পরিষদের সদস্যগণসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী ডিসপ্লে, যেখানে প্রদর্শন করা হয় তিন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেন তরুণ-তরুণীরা।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, ‘এই উৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। পাশাপাশি উন্নয়নের অগ্রযাত্রাও এগিয়ে যাবে।’
উৎসবের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় এই সামাজিক উৎসব মানুষের মাঝে ঐক্যের বন্ধন তৈরি করছে। পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মিলে মিশে যেভাবে উৎসবটি উপভোগ করছে, আমরা চাই এভাবেই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক খাগড়াছড়ি।’
উল্লেখ্য, বৈসাবি উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ১২ এপ্রিল ভোরে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে।