কুষ্টিয়ায় সরকারি আচরণ বিধি ভঙ্গ করে কোচিং বাণিজ্য

0 ৪৪

কুষ্টিয়ায় সরকারি আচরণ বিধি ভঙ্গ করে কোচিং বাণিজ্য করছেন খাদ্য পরিদর্শক মিজু আহমেদ

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মিজু আহমেদ, তার কোচিং বাণিজ্য স্থানীয় কর্মকর্তারা মৌখিক ভাবে জানলেও অজানা কারণে নেওয়া হয় না কোনো কার্যকরী ভূমিকা,প্রভাব পড়ছে সরকারি কাজে

সরোজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড় এলাকায় সমবায় মার্কেট-২ এর ২য় তলায় একটি রুমে “মিজু স্যারের বেসিক এন্ড এ্যাডভান্স ইংলিশ প্রাইভেট প্রোগ্রাম” নামের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কোচিং সেন্টারে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে নিয়মিত কোচিং করানো হয়।এখানে নিয়মিত ক্লাস নেন এই কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোঃ মিজু আহমেদ, যিনি একজন সরকারি চাকুরীজীবি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি সরকারি চাকুরির পাশাপাশি অন্যকোনো কাজ করতে পারেন কি না?সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ মোতাবেক একজন সরকারি কর্মচারী তাঁর চাকুরির পাশাপাশি সাইড বিজনেস বা পার্ট টাইম চাকুরি করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় তা আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন হবে।অথচ তিনি সরকারের অনুমতি না নিয়েই কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন যা সুস্পষ্ট আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল অথচ এটা সরকারি বিধিমালায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ তা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না।

এ বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ৩বছর আগে এই কোচিং বাণিজ্য নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিতেই মোঃ মিজু আহমেদ তদবিরের মাধ্যমে তার সরকারি চাকুরী জিবনের প্রথম পোষ্টিং নেন নিজ জেলাতে। নিজ জেলাতেই চাকুরী করার সুবাদে কোচিং বাণিজ্য ছাড়াও নিজ কর্মস্থলে সকলের উপর আধিপত্য বিস্তার করেন খুব সহজেই। একটি সুত্রে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময়ে কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার সন্তান সাবেক বিচারপতি হাসান ফয়েজের সুপারিশে সরকারি চাকুরী পান তিনি ফলে ক্ষমতার একটি দম্ভ তার ভিতরে কাজ করে,ফলে তার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে কেউ আগ্রহী নয়।

এদিকে মূল্য সংযোজন কর আইন ২০১২ ও মূল্য সংযোজন বিধি ২০১৬ অনুযায়ী কোচিং সেন্টার এর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কে ১৫% হারে মুসক বা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করতে হয়। মুসক এর টাকা ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এবং মাসিক ফির উপর ১৫% হারে পরিচালনা কারী প্রতিষ্ঠান কে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করতে হয়,এক্ষেত্রেও অবৈধভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন মোঃ মিজু আহমেদ।কোচিং বানিজ্যের কথা স্বীকার করে মিজু আহমেদ বলেন, আমি সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত কোচিং করাই এতে অফিস টাইমে সমস্যা হয় না, তিনি আরও বলেন, কোচিং এর বিষয়টা অফিসের স্যারেরা জানেন। এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আল্-ওয়াজিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমরা তাকে মৌখিক ভাবে কোচিং চালানো বন্ধ করতে বলেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরীর Dhaka post news এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম,আমি খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.