বালিকা মাদরাসার ছাত্রীকে পরিচালক ধর্ষণের অভিযোগ
বালিকা মাদরাসার ছাত্রীকে পরিচালক ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিরলে আসহাবুস সুফফা বালিকা মাদরাসার ও নূরানী একাডেমির পরিচালক ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে (জেলহাজতে) রয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ৩নং ধামইড় ইউনিয়নের ঢেরাপাটিয়া বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা থেকে ভিকটিম উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ওই পরিচালককে আটক করে পুলিশ।
আটক পরিচালক হাফেজ মো. আবু বাকার সিদ্দিক উপজেলার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের অধিবাসী।
ভিকটিমের মা থানার এজাহারে জানান, আমার মেয়ে শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করাসহ মাদরাসার আবাসিক রুমে অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। মাদরাসার পরিচালক আবু বাকার সিদ্দিক তার স্ত্রীসহ মাদরাসার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে বসবাস করে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টায় আসামির স্ত্রী বিবাহের দাওয়াত খাওয়ার জন্য মাদরাসার বাহিরে যায়। এরই সুযোগে বিকেলে ভিকটিম মাদরাসায় ছাত্রীদের পাঠদান শেষে ঘরে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
এ অবস্থায় পরিচালকের স্ত্রী মাদরাসায় না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ডেকে তার পশ্চিম ভিটার পূর্ব (আসামির শয়ন ঘরে) নিয়ে যায়। তারপর মাদরাসার পরিচালক ভিকটিমকে আইসক্রিম খেতে বলেন। খেতে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক তার মুখে থাকা নিকাব টেনে ওপরে তুলে জোরপূর্বক আইসক্রিম খাইয়ে দেয়। আইসক্রিম খাওয়ার পর ভিকটিমের মাথা ঘুরতে থাকে। তখন ভিকটিমের মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে।
ভিকটিম গোপনে ঘটনার কথা এক অভিভাবককে জানালে তিনি মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানায়।
এ ব্যাপারে বিরল থানার ওসি মো. আব্দুস ছবুর dhaka post news কে বলেন, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুলতান মাহমুদ dhaka post news কে জানান, রোববার রাতে ঢেরাপাটিয়া বাজার সংলগ্ন মহিলা মাদ্রাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত আসামি আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।