পালিয়ে বাঁচলেও শেষরক্ষা হয়নি অভিনেতা সিদ্দিকের

0 ৪৯

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম dhaka post news কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা ও হত্যারচেষ্টার অভিযোগে গুলশান থানায় একটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এজন্য তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করা হবে। ইতোমধ্যে গুলশান থানার একটি টিম রমনা থানায় এসেছে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

রাজনীতির উত্তেজনা এবার ছড়ালো বিনোদন জগতে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা ও সাবেক এমপি প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।

 

কীভাবে শুরু হলো নাটকীয় এই ঘটনা?

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায়। ‘দেলোয়ার টাওয়ার’ নামের নিজ ভবনে অবস্থান করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। সেদিন সন্ধ্যায় বন্ধু ও কথিত দুলাভাই জামিল আহম্মেদের বাসায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দ্রুতই এলাকায় জড়ো হন স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। অবস্থানকারীদের মধ্যে ছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি।

আশঙ্কা বুঝতে পেরে বন্ধু ও দুলাভাই দ্রুত তাকে এলাকা ত্যাগের পরামর্শ দেন। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ অনুযায়ী, জামিল আহম্মেদের সহায়তায় একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যান সিদ্দিক।

ভুল বোঝাবুঝির শিকার জামিলের ভাই!

পরদিন ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সিদ্দিকের পালানোর সূত্র খুঁজে পায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। ক্ষিপ্ত হয়ে তারা দলবল নিয়ে হামলা চালায় জামিল আহম্মেদের বাসায়।কিন্তু দুর্ভাগ্য, বাসায় সে সময় জামিল ছিলেন না। শব্দ শুনে নিচে আসেন তার ভাই আনোয়ার হোসেন কুডু। চেহারার মিল থাকায় কর্মীরা ভুল করে তাকেই ধরে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত কুডুকে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেষরক্ষা হয়নি সিদ্দিকের!

এই ঘটনার মাত্র কয়েক দিন পর—২৯ এপ্রিল আবারও মাঠে নামে ছাত্রদলের আরেকদল কর্মী। তারা সিদ্দিককে একটি এলাকায় শনাক্ত করে আটক করে। এরপর প্রকাশ্যে গণপিটুনির পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এই দৃশ্য ধারণ করা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

প্রশাসনের অবস্থান কী?

এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে শাহজাদপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.