ভারত এবং পাকিস্তান বেশ জোরেশোরেই লিপ্ত হয়েছে সংঘাতে
ভারত এবং পাকিস্তান বেশ জোরেশোরেই লিপ্ত হয়েছে সংঘাতে
স্পোর্টস ডেস্ক
উত্তেজনার শুরু হয়েছিল আরও বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। তবে সেটা এতদিন ছিল সাময়িক গোলাগুলি পর্যন্ত। তবে এবার ভারত এবং পাকিস্তান বেশ জোরেশোরেই লিপ্ত হয়েছে সংঘাতে। বাংলাদেশ সময় ৬মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানের ৯ জায়গায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। পাল্টা প্রতিঘাত এসেছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও।
এখন পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে, ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যেকার এই উত্তেজনার মাঝে দেখা দিয়েছে অন্য এক দুশ্চিন্তা। দুই দেশেই বর্তমানে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততা। আইপিএল এবং পিএসএলে যুক্ত আছেন বিভিন্ন দেশের একঝাঁক ক্রিকেটার।
এদের মধ্যে পিএসএল প্রায় শেষের দিকে এগুলেও আইপিএলে এখন পর্যন্ত বাকি অনেকটা পথ। বাকি থাকা ম্যাচগুলোর মধ্যে একাধিক ম্যাচই আছে ভারত সরকারের ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে। বেশকিছু ম্যাচ আবার আয়োজিত হবে এমন শহরে যেখানে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
যেসব ম্যাচ নিয়ে আছে শঙ্কা তাদের মধ্যে তিনটিতেই আছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের নাম। একটি করে ম্যাচ আছে ব্যাঙ্গালোর, পাঞ্জাব, মুম্বাই, দিল্লি এবং হায়দরাবাদের।
এমন পরিস্থিতিতে লখনৌ অঞ্চলের দুই ম্যাচ নিয়েই শঙ্কা সবচেয়ে বেশি। উত্তর প্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এরইমাঝে স্টেডিয়ামসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার কথা জানিয়ে রেখেছেন। এছাড়া ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শঙ্কা জেগেছে আইপিএলের বাকি অংশের খেলা নিয়েও। পরিস্থিতি আরো বেশি জটিল হলে ভেন্যু বদল করা হতে পারে। এর আগে ২০০৯ সালে পুরো আসরই সরিয়ে নেয়া হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। আবার ২০১৪ সালে নির্বাচনের সময়ে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এনে টুর্নামেন্টের একটা বড় অংশ ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ২০২৫ সালে পরিস্থিতি আইপিএলকে কোন পথে নিয়ে যায় সেটাই দেখার অপেক্ষা।