আমাদের দেশনেত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা

0 ২৬

আমাদের দেশনেত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন। তারা যেন তাদের পছন্দমতো এক প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন। তাহলে দেখবেন রাতারাতি সকল সমস্যার সমাধান শেষ হয়ে যাবে। 

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের দেশনেত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা। গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার সারাটা জীবন আন্দোলন করেছেন, বিলিয়ে দিয়েছেন। এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি সব বিপদ বরণ করে নিয়েছেন। ১৯৭১ সালে  শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন

স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন… ৯০ এর ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার কে পতন করেছে। কারণ ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের সিপাহসালার যারা ছিলেন তারা সবাই বেগম জিয়াকে নেত্রী হিসেবে মানতেন। শেখ হাসিনা কেউ না। সেই সময় শেখ হাসিনা আপস করতে চেয়েছিল। এই রাগে তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ছাত্রলীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সেই আপসহীন নেত্রী গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন। তাকে বরণ করার জন্য বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত জনগণের ঢল নেমেছিল। এই জনতার ঢল হচ্ছে গণতন্ত্রের মাতাকে বরণ করে নেওয়া। গণতন্ত্রকে বরণ করে নেওয়া। স্বাধীনতাকে বরণ করে নেওয়া। এটি বর্তমান সরকার বুঝতে পারলে দেশের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।

তিনি বলেন, আইয়ুব খান স্বৈরাচারী পন্থায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু এ দেশের ছাত্র-জনতা ঊনসত্তরে তাকে পতন করে। পরে মুক্তিযুদ্ধ হয় এবং বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার কারণে স্বৈরাচার এরশাদকে পতন করেছিল এ দেশের ছাত্র-জনতা। এ দেশের ছাত্র ও জনগণ গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে এটা যদি এ সরকারের বুঝতে না পারে, তাহলে খুবই দুঃখজনক।

নাগরিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. আরিফা সুলতানা রুমাসহ সংগঠনটি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.