চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি বিএনপির ছাত্রদল ও যুবদলের ১০ জনকে আটক
রোববার (১১ মে) দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, গাজীপুর মহনগর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ও সদর উপজেলার ভাওয়াল গাজীপুর গ্রামের বোরহান উদ্দিন (২৮), মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য ও দক্ষিণ সালনা এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন (৪০), মহানগর যুবদলের সদস্য বাওরাইদ এলাকার মকবুল হোসেন (৪৩), ভোলা সদরের ইলিসা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর (৪০), দক্ষিণ সালনা এলাকার কবির হোসেন (৩২), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেওলি গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৬), ঢাকার রূপনগর এলাকার মহিউদ্দিন (৩০), রংপুরের কোতয়ালি থানার শাহিন ভূঁইয়া (৩৭), ভোলার বাগার হাওলা গ্রামের পলাশ হাওলাদার (৩১) ও নীলফামারির সৈয়দপুর থানার খিয়ারপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম (৪২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর নগরীর পোড়াবাড়ী মাস্টারবাড়ি হংকং ফিলিং স্টেশনের বিপরীত পাশে সৃজনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের সমিতির অফিস রয়েছে। ওই সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা’র কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আটককৃতরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে যৌথবাহিনী ও গাজীপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পোড়াবাড়ী র্যাব ক্যাম্পের আশপাশের এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিনসহ ১০ জনকে আটক করে। পরে তাদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তন্তর করা হয়।
গাজীপুর মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, ওই এনজিওর মালিকের কাছে ঢাকার বিএনপির এক নেতার আত্মীয় টাকা পাবে। কিন্তু এনজিও মালিক টাকা দেই দিচ্ছি বলে দিচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে রোববার পোড়াবাড়ি একটি অফিসে সমঝোতার বৈঠক চলছিল। ওই এনজিও মালিক সেনাবাহীকে ফোন করে তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। তাদের কাছে কেউ চাঁদা দাবি করতে যায়নি।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. রোহানুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তারা কেউ চাঁদাবাজি করতে যায়নি। এনজিও প্রতিষ্ঠানে টাকা পাওনার বিষয় নিয়ে সমঝোতা করতে গিয়েছিল।
গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়সার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।