লন্ডনে বসে সরকারের সঙ্গে বৈঠক দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা
শুক্রবার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিদেশে মিটিং বসানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে দেশের জনগণের মধ্য দিয়েই, বিদেশি আলোচনায় নয়।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর যে সামাজিক চুক্তির আশা ছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ যে অনিশ্চয়তা, তা থেকে উত্তরণে নতুন জাতীয় সমঝোতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সরকার যদি বিচার, সংস্কার ও সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তাহলে এনসিপি দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের পথে যেতে বাধ্য হবে। শুধু নির্বাচন আয়োজন করলেই হবে না, সঠিক বিচার ও সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া এর কোনো মূল্য নেই।
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থার প্রতীক নয়। এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, আরপিও সংশোধন এবং জাতীয় ঐকমতের ভিত্তিতে নির্বাচন না হলে দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়।
বিএনপির অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক। তিনি বলেন, একসময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বললেও বিএনপি এখনো কোনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিতে পারেনি। ফলে স্পষ্ট হচ্ছে তারা শুধু ক্ষমতার অংশীদার হতে চাইছে, জনগণের স্বার্থ নয়।
প্রধানম উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ ও জনগণের কষ্টের মূল্যায়ন করতে হলে, মাঠে নেমে জনগণের মন বুঝতে হবে। না হলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।