ডেমরা বালুর ঘাটে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় আওয়ামী ছাত্রলীগ যুবলীগ সন্ত্রাসীরা (পর্ব ১)

0 ৫৯

ডেমরা বালুর ঘাটে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় আওয়ামী ছাত্রলীগ যুবলীগ সন্ত্রাসীরা! (পর্ব ১….!)

 

এম রাসেল সরকার: 

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন নদীর পাড় বালু ঘাটে দিনরাত ২৪ ঘন্টা চাঁদাবাজিতে সক্রিয় আওয়ামী লীগ। গত ৫ই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ তারই দোসর ও ছাত্র জনতা আন্দোলনে হত্যাকারীরা। পরবর্তীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা পলাতক রয়েছে।

দীর্ঘ দিন ডেমরা থানা অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন স্পটের চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে ডেমরা বালুর ঘাটে আওয়ামী লীগের কর্মীদের অধিনেই দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই চাঁদাবাজিতে সক্রিয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ডেমরা বালুর ঘাটে সক্রিয় ছিলো ডিএসসিসির ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাতক আসামি মাহমুদুল হাসান পলিন। গত ০৫ আগস্টে পর কাউন্সিলর পলিন পলাতক রয়েছে। কিন্তু চাঁদাবাজিতে সক্রিয় রয়েছে তার একান্ত সহযোগী ডেমরার আলোচিত যুবলীগ নেতা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শাহিনসহ কয়েক জন। এদিকে স্থানীয় ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পলিন পলাতক থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো ডেমরা বালুর ঘাট!! ডেমরার এক স্হানীয় বাসিন্দা গনমাধ্যম কর্মীদের জানায়, সারা দেশে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি বন্ধ কিন্তু ডেমরা বালুর ঘাটে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অধিনে।

তবে এই আওয়ামী লীগের দোসরদের অন্য কোন দলের ছএছায়া আছে কিনা? মাঠ পর্যায়ে গনমাধ্যম কর্মীদের একটি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ চলমান। বর্তমানে কাউন্সিলর পলিনের চাঁদাবাজি যিনি নিয়ন্ত্রণ করছে তিনি আর কেউনা তিনি হলেন ডেমরা সারুলিয়া এলাকায় এক সময়ের মাদক সম্রাট যিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুপরিচিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা শাহিন। যার কাছে আওয়ামী লীগের সময় ছিল অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার! এখনও অবৈধ অস্ত্র ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না সন্ত্রাসী শাহিন। বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সারা দেশে দিন রাত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনের অস্ত্রধারী ক্যাডার সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী শাহিন এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমনটি চোখে পরেনি,স্থানীয় জনসাধারণের এবং গনমাধ্যম কর্মীদের চোখে।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা ক্ষোভ স্বরূপ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যে ভাবে ক্ষমতা অপব্যবহার করছে সন্ত্রাসী শাহিন ও পলিন এবং বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়েও ছাএ জনতা হত্যা মামলার একাধিক পলাতক আসামি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনের নিয়ন্ত্রণে এখনও চাঁদাবাজিতে সক্রিয় ডেমরা বালুর ঘাট। সূএ মতে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কাউন্সিলর পলিনের কথার অবাধ্য হলেই বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ধরে এনে ডেমরা বালুর ঘাটে কনকনে শীতে নদীতে গলা সমান পানির মধ্যে বাঁশের খুঁটি সাথে বেঁধে রেখে সারা রাত অমানবিক নির্যাতন করা হতো এবং চাঁদার টাকা আদায় করতো।

এছাড়াও বিএনপি নেতা কর্মীদের ধরে এনে সন্ত্রাসী শাহিন ও পলিনের “টর্চার সেলে” আটকে রেখে সারা রাত পার্ষবিক নির্যাতন করা হতো। উক্ত নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ বর্তমানে স্হানীয় বিএনপি জামায়াত নেতাদের ও গনমাধ্যম কর্মীদের হাতে ঘুরপাক খাচ্ছে। গত ০৫ আগস্ট বৈষম্য ছাত্র জনতা আন্দোলনের পরেও বর্তমানে একই কায়দায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্মের লিপ্ত অস্ত্রধারী ক্যাডার যুবলীগ নেতা শাহিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছে স্থানীয় জনগণ। এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা শাহিনের মন্তব্য অনেক চেষ্টার পরেও পাওয়া যায়নি, উল্টো প্রতিবেদককে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গালিগালাজ ও মামলার ভয় ভিত্তি সহ হুমকি ধামকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে: চলবে…!

Leave A Reply

Your email address will not be published.