পিআরের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে

0 ১৪৮

পিআরের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে, সংসদ জাতীয় ইস্যুতে বেশি মনোযোগী হবে : জেএসএফ বাংলাদেশ 

 

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ

 

জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ এর সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন গত শনি বার এক বিবৃতিতে বলেছেন,জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা নিশ্চিত ও টেকসই করার একমাত্র রক্ষাকবচ হলো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন।

সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরবর্তী সরকারকে বাধ্য করার জন্য পিআর-ই একমাত্র উপায়। এর বাইরে নৈতিক বাধ্যবাধকতা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আমরা দেখতে পাচ্ছি জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যে পৌছানো যাচ্ছে না। আবার জুলাই সনদের আইনী মর্যাদা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে। ফলে এখন চাঁপে পড়ে সংস্কারে রাজী হলেও পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার সংস্কার বহাল রাখবে কিনা সেই অনিশ্চয়তা এখনই দেখা দিয়েছে।খবর আইবিএননিউজ ।২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ৪০% ভোট পেয়ে আসন পেয়েছে মাত্র ২১%। আবার ২০০৮ সালে ৪৯% ভোট পেয়ে আসন পেয়েছে ৭৭%। অর্থাৎ মাত্র ৯% ভোট বেশি পাওয়ায় আসন বেড়েছে ৫৬%, মানে ৬ গুনের বেশি।

 

বিএনপির ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ২০০১ এ ৪৭% ভোট পেয়ে আসন পেয়েছে ৬৮% আর ২০০৮ সালে ৩৩% ভোট পেয়ে আসন পেয়েছে ১০%। ১৪% ভোট হ্রাস পাওয়ায় তার আসন হ্রাস পেয়েছে ৫৪%। ভোটের সামান্য ব্যবধানে আসনের এমন বড় উত্থান-পতনের কারণে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভারসাম্যহীন হয়। অল্পতেই কোন দল বিপর্যস্ত হয় আবার কোন দল সীমাহীন ক্ষমতা পেয়ে যায়। বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা এভাবেই রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তোলে।

 

এই দুই নির্বাচনে যদি পিআর পদ্ধতি থাকতো তাহলে চিন্তা করে দেখেন, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হতো? সম্ভবত ২০২৪ এ আমাদের এতো রক্ত দেয়ার মতো অবস্থাই তৈরি হতো না।

 

পিআর নিয়ে আলোচনার শুরুতেই ভৌগলিক প্রতিনিধিত্বের অনিশ্চয়তার বিষয়টি সামনে আসে। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রথমত সাংসদদের কাজ এলাকার উন্নয়ন করা না। বরং পলিসি লেভেলে কাজ করা। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী কাজ করা।

 

যদি তারা বৈষম্যহীন নীতি গ্রহন করতে পারেন তাহলে দেশের সর্বত্র উন্নয়ন পৌছে যাবে। আর এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিগণ তো দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন-ই।

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক কোন বিভেদ নাই। দেশের মৌলিক কোন বিভাজনও নাই। দলগত বিভাজন আছে; সেই বিভাজন নিয়েই আমাদের দেশে জোট-মহাজোটের রাজনীতি ও সরকার আমরা দেখেছি। ফলে পিআর হলে সরকারের ঘনঘন বদলে যাবে এটা অহেতুক দুঃচিন্তা। হ্যা! রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছাড় দেয়ার মানসিকতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। সহ-অবস্থানের চরিত্র ধারণ করতে হবে। আর আমরা এটাই তো চাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.