পিআর নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে সক্ষম
আজ (শনিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আল্লাহ উত্তম সাহায্যকারী, না হলে আমাদের একার কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, এই ১৯ জুলাই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ইন্টারনেট নাকি এমনি এমনি বন্ধ হয়ে গেছে। সেসময় ফ্যাসিবাদী শিল্পপতিরা শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছিল, বলেছিল আন্দোলন দমনে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। কিন্তু তারা সফলতা অর্জন করতে পারেনি। কারণ জালিমরা কখনও সফল হয় না।
এই জুলাই যোদ্ধা আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যখন দমনপীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বুকের রক্ত দিয়ে আন্দোলন চলমান রেখেছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষ এই আন্দোলনকে সক্রিয় করেছিল।
তিনি বলেন, একটা সময় শিবির অপবাদ দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়েছিল, শিবির করা কোনো অপরাধ নয়, রাজনৈতিক দল করা কোনো অপরাধ নয়।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার যে কয়টা নির্বাচন করেছিল, একটাতেও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে, তা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে সক্ষম।
সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জামায়াতের আজকের সমাবেশ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।