খুলনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের (অঃ দাঃ) বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি

0

খুলনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের (অঃ দাঃ) বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অভিযোগ

 

সাগর কুমার বাড়ই ,
তেরখাদা ( খুলনা ) প্রতিনিধি //

২৯ জুলাই ২০২৫,

 

খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুর রহমান ( অঃ দাঃ ) এর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি , ক্ষমতার অপব্যবহার , অসৌজন্যমূলক আচরণ , দায়িত্বে অবহেলা , শিক্ষকদের হয়রাণি , প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে সমন্বয়হীনতা , শিক্ষকদের এমপিও সংক্রান্ত কাজে হয়রানি সহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একাধিক অভিযোগে জানা যায় , শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমানের সপ্তাহে তেরখাদা উপজেলায় ২দিন অফিস করার কথা থাকলেও তিনি মাসে মাত্র ১দিন অফিস করেন বলে জানা গেছে।

অফিসে নামমাত্র এসে ফিল্ড না করে আবার ফিরে যান। শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কর্মচারীসহ অফিসে আগত শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণেরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে আরও জানা গেছে , তিনি অফিসিয়াল কন্টিজেন্সির অর্থ আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে আটলিয়া সিদ্দিকীয়া আলীম মাদ্রাসার এক শিক্ষককে বিএড স্কেল দেয়া নিয়ে , আদমপুর বলদ্বর্না শালিকদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর ইএফটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে , কোলাপাটগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের এমপিও নিয়ে এবং নাচুনিয়া জুনারী দাখিল মাদ্রাসার এক শিক্ষককে এমপিও’র বিষয় নিয়ে অর্থ দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাঁর দাবিকৃত অর্থ সময়মত না দেয়ায় তিনি কাজ সম্পাদন করেন নি।

সূত্রে জানা গেছে , নাচুনিয়া জুনারী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পর্যন্ত গড়ায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে এমপিও ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীদের হেনস্তা করছেন বলে জানা গেছে।

তিনি যেদিন অফিসে আসেন তাঁর আগে এমপিও সহ বিভিন্ন কাজে বাধিয়ে রাখা শিক্ষকদের অফিসে আসার কথা জানিয়ে দেন।
শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় একটি অনুষ্ঠানে দায়িত্বে অবহেলা করে সম্মানী ব্যক্তিদের অসম্মান করার অভিযোগ রয়েছে।
যে কারণে অনুষ্ঠানে আগত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উক্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।
একজন কর্মকর্তার অনুরোধে শিক্ষকরা অনুষ্ঠান বর্জন করেন নি তবে অনেকেই অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমানের অপসারণ দাবি করেন। জানা গেছে , শিক্ষা অফিসার ওই দিন অনুষ্ঠানের মধ্যেই বক্তাদের তোপের মুখে পড়েন।

এ ব্যাপারে আটলিয়া সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম বলেন , শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান যে কাজটি করছেন তা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। ভুক্তভোগী শিক্ষক মোজাফফর হোসেন বলেন , তাঁর এমপিও নিয়ে একবার অফিসে , একবার বাসায় করে ৩মাস ধরে ঘুরিয়েও ফাইল স্বাক্ষর করেন নি।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করার পর তিনি শিক্ষক মোজাফফর হোসেনের ফাইলটি স্বাক্ষর করেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন , তেরখাদা অফিসে যাওয়ার কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই।

যখন কাজ থাকে তখন অফিসে যাই , অনেক সময় শিক্ষকদের ফাইল বাসায় নিয়ে আসতে বলি।
তাঁর বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের কথা তিনি অস্বীকার করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.