চাঁদা না পেয়ে ১০টি দোকানে তালা জামায়াত ও বিএনপির চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার
জেলা প্রতিনিধি নাটোর
২৯ জুলাই ২০২৫
নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ১০টি দোকানে তালা লাগিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগে জামায়াত ও বিএনপির চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার আহম্মদপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী তাদের আটক করে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), হায়দার আলী (৪৮) ও তার বাবা মুজিবর রহমান (৭০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কোরবান আলী, শাহ আলম, মোতালেব হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম আহম্মদপুর বাজারে নিজেদের মালিকানাধীন জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাদের নামে এসএ এবং আরএস খতিয়ানভুক্ত এই জমি প্রায় ৭০ বছর ধরে তাদের ভোগদখলে আছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গতকাল বেলা ১১টার দিকে রুহুল আমিন, আজিমুদ্দিন, হায়দার আলী, মুজিবর রহমানসহ ৪০-৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে বাজারে গিয়ে দোকানপ্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের হুমকি দেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে একে একে ১০টি দোকানঘরে তালা লাগিয়ে দেন এবং দোকান ছেড়ে না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
বিকেলে ভুক্তভোগীরা সেনা ক্যাম্প ও বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন। সন্ধ্যার দিকে সেনাসদস্য ও পুলিশ যৌথভাবে বাজারে অভিযান চালিয়ে দোকানগুলোর তালা খুলে প্রকৃত মালিকদের দখলে ফিরিয়ে দেয়। এসময় অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রুহুল আমিন ও তার লোকজন আমাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করছিল। রাজি না হলে দোকানে হামলা ও তালা মেরে দেয়। পরে আমরা মামলা করি।
তবে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামায়াত নেতা রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ওই জমির প্রকৃত মালিক আমরা। দীর্ঘদিন তারা দখলে রেখেছে। আমরা ভাড়া চেয়েছি, তাই চাঁদা চাওয়ার অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। তবে দোকানে তালা দেওয়া আমাদের উচিত হয়নি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেনাবাহিনী চারজনকে আটক করেছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।